|
|
|
|
চা শিল্প পুনরুজ্জীবনে প্রস্তাব-পত্র চায় রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা• শিলিগুড়ি |
আগাম কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, সুনির্দিষ্ট দিশা তৈরি করেই চা শিল্পের উন্নয়নে এগোতে চায় রাজ্য সরকার। রবিবার নর্থবেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সপ্তদশ সম্মেলনের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে চা শিল্প গুরুত্বপূর্ণ। চা শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য বিরোধী দলে থাকার সময় থেকে লড়াই করছি। চা শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে তাঁদের মতামত নিয়ে সুনির্দিষ্ট পথে এগোবে সরকার। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, টি বোর্ড, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলব। চা নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না।” নর্থবেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়শনের কর্তাদের সাতদিনের মধ্যে একটি ‘অ্যাপ্রোচ পেপার’ তৈরি করে তাঁর কাছে জমা দিতে বলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। ওই প্রস্তাবে চা শিল্পের সমস্যা, সংগঠনের পক্ষ থেকে কী চাওয়া হচ্ছে সরকারের কাছ থেকে, চা বিশেষজ্ঞদের মতামত রাখতে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, “ওই কপি হাতে পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে আলোচনা করা হবে। অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক দুটি দিকই আলোচনা করা হবে।” মন্ত্রী জানান, চা শিল্পে দুই ধরনের ভাগ রয়েছে। পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সে কিছু বড় চা বাগান কয়েকশো বছর ধরে চলছে। সেগুলির মালিকানা কয়েক দফায় হাত বদল হয়েছে। এখন ছোট চা বাগান গড়ে উঠেছে। তিনি বাগান মালিকদের সতর্ক করে বলেন, “সরকার চা বাগানগুলিতে নজর রাখছে। চা শিল্পের উন্নয়ন এবং চা শ্রমিকদের উন্নয়নের কথা মালিকপক্ষ ভাবছে, না কি সরকারি সুবিধে নিয়ে সরে পড়ার কথা ভাবছে তা দেখা হবে।” তিনি জানান, চা শ্রমিকদের জন্য সরকার ২ টাকা কেজি দরে চাল, গম দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী এক বছর ধরে ওই সাহায্য করা হবে। ওই সময়সীমা আরও বাড়ানোর চেষ্টাও তিনি করবেন বলে জানিয়েছে। টি ট্যুরিজম নিয়েও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হবে বলে তিনি জানান। এদিন তিনি আসোসিয়েশনের সদস্যদের কো অপারেটিভ তৈরির পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য কো অপারেটিভ মুভমেন্ট গড়ে তুলতে হবে।” ইকো ট্যুরিজম, কমিউনিটি বেস ট্যুরিজম নিয়েও নানা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে কমিউনিটি বেস ট্যুরিজম গড়ে তোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার উদ্যোগী বলে তিনি জানান। এ দিন অ্যাসোসিয়শনের পক্ষ থেকে এনওসি, সেস, কৃষি কর সহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুনীল তিরকি এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। বিধায়ক সংগঠনের সদস্যদের কো-অপারোটিভ তৈরির পরামর্শ দেন। |
রায়গঞ্জ, পুজালির ভোট প্রায় নির্বিঘ্নে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ ও কলকাতা |
বিক্ষিপ্ত ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির ঘটনা ছাড়া, রবিবার প্রায় নির্বিঘ্নেই কাটল উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ এবং দক্ষিণবঙ্গের পুজালি পুরসভার ভোট। প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুর-এলাকায় (২৫টি ওয়ার্ড) এ দিন ৮০.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ দিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট-যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ায়, সেখানে আধ ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত ভোট-যন্ত্র মেরামত করে ভোট শুরু করা হয়। দক্ষিণে কলকাতা শহরতলির পুজালি পুরসভার ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজীবপুর পল্লিমঙ্গল প্রাথমিক স্কুলের বুথে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট এবং নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজালি পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে এ দিন গড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। |
|
|
|
|
|