টুকরো খবর

নিখোঁজ কিশোর ও তরুণ
পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ বাঁকুড়ার খাতড়ার এক আদিবাসী কিশোর। প্রশান্ত হাঁসদা নামে ওই কিশোরের বাড়ি খাতড়া থানার মাহারাডিহি গ্রামে। বুধবার সকালে মায়ের বকুনি খেয়ে রাগ করে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বলে তার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রশান্ত স্থানীয় কাঁকড়দাড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা, পেশায় চাষি সনাতন হাঁসদা জানান, দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে প্রশান্তই সব থেকে বড়। সনাতনবাবু বলেন, “ওর মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে প্রশান্ত বুধবার সকাল ন’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম রাগ করে কোনও আত্মীয়বাড়ি চলে গিয়েছে সে। কিন্তু পরের দিন সকালেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করি। সব আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও খোঁজ না মেলায় চিন্তায় পড়েছি।” শুক্রবার খাতড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন সনাতনবাবু। তাঁর আক্ষেপ, “ছেলে যে কোথায় আছে বুঝতে পারছি না। এমন জানলে ওর মা’কে বকাবকি করতে নিষেধ করতাম। সামান্য বকাবকির জন্য ও যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি।” এসডিপিও (খাতড়া) অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ওই কিশোরের খোঁজ চলছে। এখনও পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি।” অন্য দিকে, আড়শা ব্লকের অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া ফসকো গ্রামের বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক কলেজছাত্র। পুলিশ জানায়, ভানুপ্রসন্ন কুমার নামে ওই তরুণ আড়শা কলেজে কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার সিপিএম নেতা তথা দলের জেলা কমিটির সদস্য মহাদেব কুমারের ছেলে ভানুপ্রসন্ন গত ২৬ জুন সকালে ‘পুরুলিয়ায় কাজ আছে’ বলে বাড়ি থেকে বেরোন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিজনেরা খোঁজ শুরু করেন। কোথাও কোনও হদিস না পেয়ে পরের দিন আড়শা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। রবিবার মহাদেববাবু বলেন, “এত দিন হয়ে গেল, কোনও জায়গা থেকেই ছেলের খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা খুবই উৎকণ্ঠায় আছি।”

জঙ্গলমহলকে অস্ত্রমুক্ত করার ডাক শুভেন্দুর
ধরা পড়ার ‘ভয়ে’ পালিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলে দাবি করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ২১ জুলাইয়ের প্রচারে এসে রবিবার বিকেলে পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের সভায় এ কথা বলেন তিনি। নেতাই-কাণ্ড টেনে তাঁর বক্তব্য, “নেতাই নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। চার্জশিট জমা পড়েছে। কয়েক জন ধরা পড়েছে, কয়েক জন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সুশান্ত ঘোষকে যেমন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর নিজের এলাকা গড়বেতায় মাটি খুঁড়লেই কঙ্কাল মিলছে। পুকুরে জাল ফেললে উঠছে অস্ত্র। আর উনি নিজে ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।” এ দিনই বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে এক কর্মিসভায় শুভেন্দুবাবু জানান, কলকাতাকে সাজানোর পাশাপাশি জঙ্গলমহলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর রয়েছে। তাই জঙ্গলমহল দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম জেলা সফর শুরু করছেন। তাঁর কথায়, “মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরে যাবেন। বাঁকুড়াতেও যাবেন। কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে জঙ্গলমহলে। পুলিশেই ৮০০০ জনকে বাঁকুড়া জেলা থেকে নিয়োগ করা হবে বলে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে।” পাশাপাশি ‘অস্ত্র মুক্ত জঙ্গলমহল’ গড়ার ডাক দিয়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ। বলেছেন, “কোথাও বলা হচ্ছে রাজনীতি করা চলবে না, ঝান্ডা রাখা যাবে না। আমরা অস্ত্রের বিরুদ্ধে। যাঁরা বাইরে থেকে বন্দুক নিয়ে এসে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছেন, জেনে রাখুন, উন্নয়ন দিয়েই সমস্যার সমাধান হবে। বাঘমুণ্ডি, বলরামপুর, ঝাড়গ্রাম, শালবনি, নয়াগ্রামজঙ্গলমহলের সর্বত্র মানুষ অস্ত্র রাখার বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।”

নিতুড়িয়ায় ধৃত ৩
ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ সাজিদ, মহম্মদ আরিফ ও তৈয়াব আনসারি। তিন জনের বাড়ি আসানসোলের কুলটি এলাকায়। রবিবার দুপুরে ধৃতদের পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানার সরবড়ি মোড়ের কাছে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে একটি মোটরবাইকে ওই তিন জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে শেখ সাজিদকে ধরে। বাকি দু’জন পালিয়ে গেলেও পরে স্থানীয়রা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “কুলটি থেকে এলাকায় এসে একটি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি করার মতলব ছিল। তার আগেই পুলিশ ওদের গ্রেফতার করেছে।”

শ্রমিক কনভেনশন
শিল্প ক্ষেত্রে দল ও প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য রাখতে হবেরবিবার পুরুলিয়ায় এ কথা বলেন, আইএনটিটিইউসির রাজ্য নেত্রী দোলা সেন। এ দিন শহরে মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত শ্রমিক কনভেনশনে তিনি বলেন, “শুধু শিল্প আইন বা শ্রম আইন কার্যকর করার দাবিতে আন্দোলন করব। জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে সংগঠন মজুরির দাবিতে আন্দোলনে নামবে। এবং শিল্প ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও মালিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে।” কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, “কোনও সমস্যা হলে দলের শ্রমিক নেতারা যাবেন শুধু দলের গাইডলাইন জানিয়ে দিতে। সরকারি কর্মসূচিতে দলীয় পতাকা ব্যাবহার করা যাবে না। এ ছাড়া, বিল বা কুপন ছাপিয়ে চাঁদা তোলা যাবে না। কোথাও তা দেখলে বাজেয়াপ্ত করে জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা দিতে হবে। এমনকী শ্রমিকরা কোনও সংগঠন গড়তে চাইলে সেখানে কোনও নেতা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।”

লুঠ, প্রতিবাদে অবরোধ
লুঠপাটের খবর পেয়েও টহলদারি পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ার অভিযোগে জাতীয় সড়ক আড়াই ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে বাঁকুড়া সদর থানার ধলডাঙামোড়ে সকাল ৭টা থেকে অবরোধ হয়। এর ফলে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বাঁকুড়া-খাতড়া ও বাঁকুড়া-তালড্যাংরা রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। রবিবার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। তবে, কেউ গ্রেফতার হয়নি।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পোয়াবাগান লাগোয়া খাদিকেন্দ্রের কাছে শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ পরপর কয়েকটি গাড়ি আটকে, চালককে মারধর করে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃৃতীরা। এক অ্যাম্বাস্যাডর চালকের অভিযোগ, “কয়েকটি গাড়ি আটকে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট করছিল। গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা আমার গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে দেয়। রড দিয়ে মারধর করে। মোবাইল ফোন, টাকা ছিনিয়ে নেয়। কোনও রকমে সেখান থেকে আমি পালিয়ে ধলডাঙায় গিয়ে পুলিশকে জানাই। স্থানীয়দেরও খবর দিই।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, খবর পেয়েও পুলিশ সেখানে যায়নি। পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়ে সেখানে টহলদারি ভ্যান সেখানে যায়। তার আগেই দুষ্কৃতীরা পালায়। তিনটি গাড়ির চালকের মোবাইল ও কিছু নগদ টাকা ছিনতাই হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, “টহলদারি পুলিশের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কৃষি কর্মশালা
রাসায়নিক সার প্রয়োগে জমির উর্বরতা কমেছে। তাই রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি মানবাজারে কৃষি কর্মশালা হয়েছে। জেলা কৃথি তথ্য আধিকারিক সুশান্ত দত্ত বলেন, “জেলার কয়েকটি জোনে এই ধরনের কর্মশালা হয়েছে।” মানবাজারের কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ব্লক কৃষি আধিকারিক-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।

মালগাড়িতে মৃত্যু
কর্মরত অবস্থায় মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক রেলকর্মীর। রেল পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয়কুমার গুপ্ত (৪৫) নামে ওই কর্মীর বাড়ি আদ্রার কমলাস্থান এলাকায়। শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে আদ্রার রেল ইয়ার্ডে। আদ্রা জিআরপি-র ওসি কিরীটীভূষণ চট্টোপাধ্যায় জানান, সঞ্জয়বাবু রেল ইয়ার্ডের সাইডিং লাইনে কাজ করছিলেন। একটি মালগাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ছাদ ভেঙে জখম
রেল আবাসনের ছাদ ভেঙে জখম হয়েছেন এক প্রৌঢ়া। শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে আদ্রা-বাঁকুড়া শাখার, ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনের পাশের রেল আবাসনে। রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনের পাশের আবাসনে ছিলেন আদ্রা ডিভিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী জলেশ্বর বাউরি। শনিবার গভীর রাতে তাঁর আবাসনের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ায় জলেশ্বরবাবুর আত্মীয়া ওই প্রৌঢ়া জখম হন। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

রেলপথের দাবি
ঝাড়গ্রাম-আদ্রা (ভায়া মানবাজার, পুঞ্চা, কাশীপুর) পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবিতে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর মাধ্যমে রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়কে একটি দাবিপত্র তুলে দিল একটি নাগরিক সংগঠন। সংগঠনের পক্ষে দুলাল দত্ত বলেন, “দাবিপত্রে কয়েক হাজার মানুষের স্বাক্ষর রয়েছে। এই রেলপথের দাবি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের। সেই দাবিপত্রই পেশ করা হল।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.