প্রাচীন উল্টোরথে মাতল বিষ্ণুপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
প্রতি বছরের মতো এ বারও মহাসমারোহে পালিত হল বিষ্ণুপুরের উল্টোরথ। জাঁকজমকপূর্ণ শতাব্দী প্রাচীন এই উল্টোরথে রবিবার মেতে উঠলেন বিষ্ণুপুরবাসী-সহ বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরাও। ভক্তমণ্ডলীর সঙ্গে এ দিন সকালে রথের রশিতে হাত লাগালেন রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়।
বিষ্ণুপুরের উল্টোরথ জমে ওঠে কৃষ্ণগঞ্জের আটপাড়া ও মাধবগঞ্জের এগারোপাড়াকে কেন্দ্র করে। সেখানে কৃষ্ণগঞ্জের মানুষ তাঁদের ‘রাধালালজীউ’ এবং মাধবগঞ্জের মানুষ ‘মদনগোপালজীউ’-এর বিগ্রহ নিয়ে সারারাত জুড়ে শহর পরিক্রমা করেন। সঙ্গে যোগ দেন শহরের এবং শহরের বাইরে থেকে আসা ভক্তবৃন্দ। একাধিক বাজনার দল এবং ঐলোকসজ্জায় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা সারা শহর পরিক্রমা করে। |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর রথে আলোকসজ্জায় চন্দননগর থেকে আনা আলো ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়া, মনোরঞ্জনের জন্য কলকাতা থেকে একাধিক বাজনদারের দল এসেছে। আকাশে রঙ ছড়িয়েছে বহুরঙা আতসবাজি। বিষ্ণুপুরের উল্টোরথ প্রসঙ্গে শ্যাম মুখোপাধ্যায় বলেন, “৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো বিষ্ণুপুরের উল্টোরথ। এর খ্যাতি রয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। সারা বছর এই শহরের মানুষ এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। ঐতিহ্যবাহী এই রথ উৎসব পর্যটন শহর বিষ্ণুপুরকে সমৃদ্ধ করেছে।”
বিষ্ণুপুরের এই রথ উৎসব শুরু হয় মল্লরাজাদের আমল থেকে। এমনিতেই প্রাচীন এই বিষ্ণুপুর শহর পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত। ধর্মপ্রাণ মল্লরাজারা যে উল্টোরথ উৎসবের সূচনা করেছিলেন, বর্তমান যুগেও বিষ্ণুপুরবাসী সেই উৎসবকে যথাযোগ্য মর্যাদায় টেনে নিয়ে চলেছেন। |
|