|
|
|
|
রাস্তা তৈরিতে এগিয়ে এলেন বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রাস্তা নেই। এর ফলে হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, থানায় যেতে আসতে ঘুরপথে যেতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। পুরসভাকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এর জন্য বাসিন্দারা অবরোধ বা বিক্ষোভের পথে না গিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা তৈরি করছেন। এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে, রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলামাঠ এলাকায়। |
|
রাস্তা না থাকায় রামপুরহাট কলেজ সংলগ্ন ৩০-৪০টি পরিবারকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, রাস্তার অভাবে অন্যান্য যানবাহন তো দূরের কথা, সাইকেল, রিকশা নিয়ে ঢোকাও যায় না। রাতভর কোনও বিপদে পড়লে সেই ঘুরপথে যেতে হয়। অভিযোগ, পুরপ্রধানের এলাকা হলেও তাঁর উদ্যোগই চোখে পড়ে না। বাধ্য হয়ে চাঁদা তুলে নিজারেই রাস্তা তৈরি করছেন।
রবিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কেউ পাথর ভ্যান রিকশায় তুলে দিচ্ছেন, কেউ বা পাথর গুঁড়ো মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ ছাতা মাথায় কাজ তদারকি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা যুব কংগ্রেস নেতা আব্দুর রেকিব বলেন, “বছর দেড়েক আগে পুরসভার উদ্যোগে কাঁদর সংস্কারের কাজ করার সময়ে মাটি কলেজের মাঠে ফেলা হয়েছিল। পরে সেই মাটি ৩০-৪০টি পরিবারের বেরনোর রাস্তার জন্য ফেলা হয়। রাস্তায় মোরাম ফেলা বা পাকা করার জন্য পুরপ্রধানকে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত ঘোষ, হিরক সিংহদের ক্ষোভ, “দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বাস করছি। রাস্তা তৈরির জন্য পুরপ্রধানকে নানা ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই এগিয়ে এলাম। কেউ ২-৩ হাজার, কেউ বা ৫০০, ৩০০ টাকা করে দিয়েছেন। ওই টাকায় তিন দিন ধরে কাজ করছি।” এলাকার পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল হায় বলেন, “এলাকার রাস্তা তৈরিতে পাথর ও পাথর গুঁড়োর যোগান দিয়েছি। এর জন্য কোনও টাকা নিইনি।” তাঁরা জানান, রাস্তার দু’ধারে বোল্ডার এবং মাটির উপরে পাথর গুঁড়ো ফেলা হচ্ছে। রাস্তায় যেহেতু জল জমে, তাই একটা কালভার্টের প্রয়োজন। কালভার্ট তৈরির পাশাপাশি প্রায় ১০০ মিটার রাস্তাটি ঢালাই করে দেওয়ার জন্য পুরপ্রধানের কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা। পুরপ্রধান তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “এলাকায় রাস্তার প্রয়োজন আছে। বাসিন্দারা নিজে থেকে এগিয়ে এসেছেন। ভাল উদ্যোগ। তবে কালভার্ট ও রাস্তা পাকা করার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।” |
|
|
|
|
|