হাবরায় একটি ছোট স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুল তৈরি করতে চায় পুরসভা। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সহায়তার জন্য রবিবার প্রস্তাবিত দু’টি প্রকল্পের কাগজপত্র হাবরার পুরপ্রধান তপতী দত্ত তুলে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের হাতে। তপতীদেবী বলেন, “ক্রীড়ামন্ত্রী প্রকল্প দু’টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।” এ দিন হিজলপুকুর মাঠে একটি অনুষ্ঠানে আসেন ক্রীড়ামন্ত্রী। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। হাবরা সেন্ট্রাল স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী এলাকার বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সদস্যদের হাতে ব্যাট, ক্রিকেট বল এবং ফুটবল তুলে দেন। স্থানীয় ফুটবলারদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে উন্নত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “গ্রামের খেলোয়াড়রা যাতে শহরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন যানবাহনে তাঁদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা করছে।”
|
জাতীয় মৎস্য-চাষি দিবস ছিল রবিবার। এই উপলক্ষে ব্যারাকপুরের জাতীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা মাছ চাষের প্রসার নিয়ে সরকারের আগ্রহের কথা জানালেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী বললেন, “ইলিশ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের পরোক্ষ ভূমিকা আছে। বাইরে থেকে আমদানি করা মাছ কত দিন রেখে দেওয়ার পরে বাজারে ছাড়া হচ্ছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। পরীক্ষা করা হবে মাছচাষি ও ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স।” ব্যারাকপুরের এই মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকাণ্ড দেখে তিনি যে মুগ্ধ, তা-ও জানান মন্ত্রী।
|
খেতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তাঁর পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে হাবরার খারোনিমতলায়। মৃতের নাম জগদীশ মণ্ডল (৪০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগদীশবাবুর জমিতে বিদ্যুতের একটি হাইটেনশন লাইনের তার ছিড়ে পড়েছিল। সেই তারে পা লেগে যাওয়ায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার হাবরার বাণীপুর কল সেন্টার থেকে দুই কর্মী ওই তার জোড়া লাগাতে যান। গ্রামবাসীরা তাঁদের আটকে রাখেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। গ্রামবাসীরা জগদীশবাবুর পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই দফতরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
|
সুন্দরবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার ক্যানিং। অথচ, ক্যানিং স্টেশনে জনসাধারণের যে শৌচালয়টি রয়েছে, তার সেপটিক ট্যাঙ্কের পাইপ দীর্ঘদিন আগেই ফেটে গিয়েছে। নোংরা জল নালা ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে পাশের বাসস্ট্যান্ড এবং সংলগ্ন এলাকায়। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের অভিযোগ, এই অব্যবস্থা নিয়ে রেল দফতর এবং প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি রেল দফতরে জানাব।” শিয়ালদহের ডিআরএম পুরুষোত্তম গুহ বলেন, “সমস্যাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”
|
পরিত্যক্ত বাসে মিলল মৃতদেহ। রবিবার, দক্ষিণেশ্বরে ডি এন-২ বাস স্ট্যান্ডে। মৃতের নাম খোকনচন্দ্র সাহা (৩০)। পুলিশ জানায়, খোকন আগে দক্ষিণেশ্বর-বারাসত রুটে বাস চালাতেন। ওই স্ট্যান্ডে তাঁর যাতায়াত ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁর মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন খোকন। বরাহনগর থানায় ডায়েরিও হয়। উত্তর শহরতলি বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সভাপতি গণপতি মজুমদার বলেন, “বাসটি মদ, জুয়া ও অসামাজিক কাজের আখড়া। থানায় জানালেও পুলিশ ঘুষ নিয়ে না দেখার ভান করে।” উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগও খতিয়ে দেখছি।”
|
বাস চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। পুলিশ জানিয়েছে ফলতার বাসিন্দা প্রদীপ আদক (২৬) এদিন ডায়মন্ড হারবার মেরিন কলেজের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুতগতিতে আসা কলকাতাগামী একটি বেসরকারি বাস তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। |