জমির দখল নিতে হামলার অভিযোগ বাদুড়িয়ার গ্রামে
মির দখল নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধল বাদুড়িয়ার বাজিতপুরের মাঝের পাড়ায়। জখম হন কয়েক জন। ৪ জনকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বহিরাগত চার জনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামের মানুষ। ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ১৩ কাঠা জমির দখলকে কেন্দ্র করে ওই পাড়ার দুই ভাই জুব্বার মোল্লা এবং খালেক মোল্লার গণ্ডগোল দীর্ঘ দিনের। জুব্বারের মৃত্যুর পরেও ঝামেলা মেটেনি। বহু বার ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। গ্রাম্য সালিশিতে বিবাদ মেটানোর চেষ্টাও কম হয়নি। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ জুব্বারের স্ত্রী খদেজা তাঁদের দখলে থাকা জমির আমগাছ কাটছিলেন। বাধা দেন খালেক। অভিযোগ, সে সময়ে খালেকের ছেলে নুরনবি এবং আয়ুব আলি বহিরাগতদের নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালান। গ্রামবাসীদের একাংশের সঙ্গে তাঁদের গণ্ডগোল বেধে যায়। কুড়ুল, দায়ের কোপে গ্রামের চার জন জখম হন। তাঁদের পরে ভর্তি করা হল হাসপাতালে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে খালেক ও তাঁর দলবলের উপরে চড়াও হয়। বহিরাগতদের তিনটি বাইকে ভাঙচুর চলে। চার জনকে মারধর করে আটকে রাখা হয় একটি ঘরে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কাটিয়াহাট চৌকি থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ওই চার জন-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত খালেক, নুরনবি ও আয়ুবও আছেন। বাদুড়িয়ার ওসি সামসের আলম বলেন, “ওই মহিলা (খদেজা) ও গ্রামের মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে।” এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
খদেজা বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুঠপাট চালায় ওরা। মহিলাদের মারধর করা হয়। প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রতিবেশীদেরও মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে খেপে গিয়ে গ্রামের লোক দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখথে দাঁড়ায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কবিদাস সর্দার বলেন, “আমরা বহু বার ওই জমি নিয়ে বিবাদ মেটাতে আলোচনায় বসেছি। কিন্তু বিধবার সব সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার লোভে তা মেনে নেননি খালেক। উল্টে, এ দিন বহিরাগতদের এনে গ্রামে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি।” গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
গ্রামবাসীদের মারে কিছুটা জখম হয়েছেন খালেক। তাঁর বক্তব্য, “কেউ বহিরাগত নয়। সকলেই আমার আত্মীয়। ন্যায্য অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে দেখে তাঁরা মীমাংসার জন্য এসেছিলেন।” অন্য দিকে, ধৃতদের মধ্যে সাহেস্তানগরের বাসিন্দা জয়কুমার মণ্ডল, আবদুল্লা সর্দারেরা বলেন, “শ্বশুরবাড়ি দেখানোর জন্য আয়ুব আলি আমাদের এনেছিল। এখানে আমাদের সঙ্গে নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা হবে, তা আগে জানতাম না।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.