‘বঞ্চিত’ দুই বৃদ্ধার কথা শুনেই পদক্ষেপ মন্ত্রীর
ভায় হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ভিড়ের মধ্যে থেকে দুই বৃদ্ধা হঠাৎ উঠে গেলেন মঞ্চে। মন্ত্রীকে বললেন, “বাবা, আমরা খুব গরিব মানুষ। দু’বেলা খাবার জোটে না। বিপিএল তালিকায় নাম নেই।” মন্ত্রী বিস্মিত। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে কথা বললেন জেলাশাসকের সঙ্গে। অন্নপূর্ণা প্রকল্পে দুই বৃদ্ধাকে চাল-গম দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিলেন দলের নেতা তুষার সিংহকে। সেই সঙ্গে বললেন, “এই দু’জনই শুধু নয়, দেখবেন গ্রামের কেউ যেন এক বেলাও অভুক্ত না থাকে” রেশন কার্ড নেই এমন অভিযোগ পেলে সেখানে শিবির করে রেশন কার্ড বিলি করতে হবে বলেও জানিয়ে গেলেন। সব দেখেশুনে দুই বৃদ্ধা মন্ত্রীর মাথায় হাত রেখে তাঁর দীর্ঘজীবন কামনা করলেন। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ উপলক্ষে রবিবার বাদুড়িয়ার কমিউনিটি হলে দলীয় প্রস্তুতি সভায় এসেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু । উপস্থিত ছিলেন অলোক দাস, দুলাল মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা মন্ত্রীকে স্মবর্ধনা জানানোর পরেই মঞ্চে উঠে আসেন আঁধারমানিকের বাসিন্দা বছর পঁচাত্তরের পুষ্পা মল্লিক এবং আগুনখালির বছয় তিয়াত্তরের বৃদ্ধা নিরুপমা মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছেন দুই বৃদ্ধা। ছবি: নির্মল বসু।
তাঁরাই দুঃখের কথা জানান মন্ত্রীকে বলেন, ‘‘ঘর বলতে একখানা ঝুপড়ি মাত্র জমিজমাও কিছু নেই আপনি কিছু একটা করুন। অন্নপূর্ণ যোজনায় চাল-গম কিছুই পাই না” এ সব কথা শোনার পরেও ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। সেই সঙ্গে জানান, ডিসেম্বর মাসে তিন দফায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভাবে বিপিএল তালিকা তৈরি করা হবে। কিছু দিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল, বাদুড়িয়ার জসাইকাটি আটঘরা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ শিমূলতলা গ্রামের দরিদ্র মানুষ বিপিএল কার্ড থাকা সত্ত্বেও খরা প্রকল্পের চাল পাচ্ছেন না। যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদেরও সরকার নির্ধারিত পরিমাণ মতো খাদ্যশস্য মিলছে না এ দিন ওই গ্রামের বাসিন্দারাও মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগ জানান। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে ঘটনা খতিয়ে দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বললেন মন্ত্রী তাঁর বক্তব্য, কেউ অনাহারে আছে জানলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে যেন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের বলা হয়েছে সম্প্রতি হাড়োয়ায় গোলমাল প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট জমানার করে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “হাড়োয়া-সহ কয়েকটি জায়গায় সিপিএম দরিদ্র মানুষের মাছের ভেড়ি দখল করছে পুলিশের উপরে গুলি-বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে।” ‘ফাঁদে’ পা না দেওয়ার জন্য দলের কর্মীদের ‘সতর্ক’ করে মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল কখনও রক্তের খেলা খেলে না বিধানসভা ভোটের পরে সর্বত্র তৃণমূল কর্মীরা খুন হচ্ছেন। আমরা কোনও বেআইনি অস্ত্র রাখতে দেব না। ভয়ঙ্কর দিন ফিরতে দেব না।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.