|
|
|
|
তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হল বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনের কাছে। খোকন প্রামাণিক (৫০) নামে ওই ব্যক্তিকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ‘পরিকল্পিত ভাবে’ খুন করেছে বলে শহরের তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন। খোকনবাবু নবদ্বীপের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপাড়া চন্দ্র কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। ওই অঞ্চলেই সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করতেন। সিপিএম অবশ্য দাবি করেছে, তাঁরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় খোকনবাবু আরও দু’জনের সঙ্গে ওই স্টেশনের কাছাকাছি একটি জায়গায় মদ খেতে গিয়েছিলেন। তবে সেখান থেকে তাঁকে আর বেরোতে দেখা যায়নি। খোকনবাবুর জ্যাঠতুতো দাদা গৌতম প্রামাণিক বলেন, “সন্ধ্যা বেলা খবর পাই খোকনের দেহ পড়ে রয়েছে স্টেশনের কাছে। গিয়ে দেখি খোকনের দেহ পড়ে রয়েছে। চারদিকে রক্তের দাগ। মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।” এলাকার তৃণমূল নেতা নির্মল দেবনাথ বলেন, “খোকন আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই সিপিএমের চক্ষুশূল ছিল। আমাদের অনুমান, কৌশলে মদের ঠেকে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় সিপিএমের মদতে তাকে খুন করা হয়েছে।” নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, “খোকন যে ভাবে তৃণমূল করত, তাতে ওই এলাকার যাঁরা বিরোধী রাজনীতি করতেন ও অসৎ কাজে যুক্ত, তাঁরা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই খোকনকে খুনের পিছনে সেই অসৎ মানুষেরা এবং তাঁদের সমর্থক রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে বলেই আমার মনে হয়। আর নবদ্বীপে তৃণমূলের বিরোধী সিপিএমই।” যদিও সিপিএমের নবদ্বীপ লোকাল কমিটির সম্পাদক গৌর দাস বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ নেই। এই খুন তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলেই হয়েছে। ঠিক মতো তদন্ত করলেই পুলিশ সব জানতে পারবে।” নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “প্রাথমিক ভাবে এই খুনের সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তের পরে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|