পণের জন্য অত্যাচার আর সে কারণেই এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর বাড়ির লোক অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা মিঠু মাইতির দেওর ও শাশুড়িকে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু মিঠুদেবীর দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তাঁর জ্যাঠা দুলাল মোদক বলেন, “যে মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে, তাঁর দেহ কেন ময়নাতদন্ত করা হবে না? জেলার শক্তিনগর পুলিশ মর্গের চিকিৎসক মিঠুর দেহ ময়নাতদন্ত না করেই ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি মিঠুর দেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হননি।” তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশলও বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হলে দেহটির ময়নাতদন্ত করা বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে কেন তা করা হল না, তা আমি পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” গত ৭ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মিঠুদেবীকে। সেই দিনই তিনি মারা যান। সেই দিনই রাতে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয় কোতোয়ালি থানায়। পরের দিন তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর পুলিশ মর্গে। অভিযোগ, সেই দিন মর্গের চিকিৎসক অজিত বিশ্বাস তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করতে চাননি। অজিতবাবু বলেন, “দেহটি মর্গে ছিল ঠিকই। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য যে সব আইন মেনে চলতে হয়, যেমন সুরতহাল রিপোর্ট জমা দেওয়া বা ফর্ম পূরণ করা ইত্যাদি কিছুই পুলিশ করেনি। তাই ময়নাতদন্ত করিনি।” দুলালাববুর দাবি, “কে কেন কী করেনি, তা আমরা জানি না। আমরা জানতে চাই, কেন দেহের ময়নাতদন্ত হল না।” নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হলে, ময়নাতদন্ত করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কেন হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বালকের। মৃত বালকের নাম সুজির আলম (৫)। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি থানার গোকর্ণ অঞ্চলের হাটপাড়া এলাকায় কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে। ওই দিন বিকেলে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতরের একটি বাস কান্দির দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে কান্দিগামী অন্য একটি বেসরকারি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে সরকারি বাসের চালক রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বালককে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে গাকর্ণ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বহরমপুরের হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় ওই বালক। পুলিশ জানায়, সরকারি ওই বাসটিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালককে।
|
স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক স্কুল ছাত্রী। শনিবার দুপুর থেকে নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরের অরুণ দাশগুপ্তের কন্যা ওই ছাত্রী। অরুণবাবু বলেন, “শনিবার দুপুরেই ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছি।” এলাকার কাউন্সিলর নরোত্তম সাহা রায় বলেন, “প্রাচীন মায়াপুরের বহু মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই এই ব্যাপারে পুলিশ ভাল করে তদন্ত করুক।”
|
বোখরা হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। রবিবার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ৬টি আসনের ৬টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল জোট। এই প্রথম সাগরদিঘিতে কোনও স্কুল পরিচালন সমিতিতে জিতল তৃণমূল।
|
রবিবার বেলডাঙা থানার মহ্যমপুর বাঁধ পাড়ায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে তা ফেটে এক বালক জখম হয়েছে। একটি ছোট মাঠে বোমাটি পড়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বালকের নাম সামজাদ আলি। তাকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার দাদু জমির আলি বলেন, “বাড়ির কাছেই একটি মাঠে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে সামজাদ জখম হয়েছে।” কিন্তু ওই মাঠে কী করে বোমাটি এল, তা কেউই বলতে পারেননি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
রবিবার সকালে খড়গ্রাম থানার বালিয়া অঞ্চলের ডাঙাপাড়ার একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে লেগে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন অক্ষয় মণ্ডল (৫০) নামে এক ব্যক্তি।
|
রবিবার ভোরে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাঠপাড়ায় এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই বাড়ির মালিক তারপর থেকে পলাতক। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “ওই থানা এলাকার একটি সমবায় ব্যাঙ্কে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পলাতক ওই ব্যক্তির কথা জানতে পারি আমরা। তারপর হানা দিয়ে এই টাকা পেয়েছি।” |