|
|
|
|
হাতির হানা, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
সোনামুখী থানার দুবরাজহাটি, পশ্চিম নবাসন গ্রামে হামলা চালিয়ে এ বার বড়জোড়া থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একটি দাঁতাল। শুক্রবার রাতের এই হামলায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ওইসব গ্রামগুলিতে। বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার মাঝরাতে দুবরাজহাটি গ্রামে চড়াও হয় একটি হাতি। ভেঙে দেয় একটি গুমটি দোকান, ধানের মড়াই। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ঢুকে পড়ে পাশের গ্রাম পশ্চিম নবাসনে। সেখানে চারটি মাটির বাড়ি ভেঙে দেয় ও ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এখানেই শেষ নয়, সেখান থেকে তাড়া খেয়ে বাঁকুড়া-সোনামুখী রাস্তা পার হয়ে বড়জোড়া থানার ফুলবেড়িয়া মোড়ে হাতিটি উপস্থিত হয়। সেখানে একটি আটাকলে হামলা চালায়। ভেঙে দেয় আটাকলের দরজা। ভেতরে ঢুকে নষ্ট করে বস্তাবন্দী আটা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে বড়জোড়ার পাবোয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে হাতিটি।
শনিবার গ্রামবাসীরা সোনামুখী ও বড়জোড়া রেঞ্জের বনকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। হাতির হানায় দুবরাজবাটির পবিত্র ঘোষের গুমটি দোকান ভেঙে পড়ে। অসিত কোনার ও চন্ডী ঘোষের ধানের মড়াই। পশ্চিম নবাসন গ্রামে হাতির তাণ্ডবে উত্তরা বাগদি, পরেশ বাগদি, সনাতন বাগদি ও ভৈরব বাগদির মাটির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। ফুলবেড়িয়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয় কুচিল দালালের আটা৪কলের। ক্ষতিপূরণের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা। ঘটনার কথা স্বীকার করে সোনামুখী ও বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার যথাক্রমে সুধাময় রায় ও সৌমেন মণ্ডল বলেন, “ঘটনার কথা আমি জেনেছি। হাতিটির দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের অশ্বাস দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|