টুকরো খবর

মেঝে খুঁড়ে সাপের বাচ্চা
কেচুয়াডাঙায় সাপের বাচ্চা।
কয়েকদিন ধরেই দু’একটি করে সাপের বাচ্চা দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। শনিবার দুপুরে মেঝের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল মোট ৬১টি সাপ। মুরুটিয়া থানার কেচুয়াডাঙা গ্রামে গৌতম ঘোষের বাড়ি থেকে সেই সাপ বার করতে মাটি খোঁড়াখুঁড়িতে মাটির ঘরটাই প্রায় ভেঙে পড়ার দশা হয়েছে। ওই সাপগুলি এক ওঝাকে ডেকে তার হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের প্রাণিবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান দেবজ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, “এই সময়ে এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ওই সাপের বাচ্চাগুলিকে তাদের ওঝার হাতে তুলে না দিয়ে বন দফতরকে ডাকা উচিত ছিল।” নদিয়া মুর্শিদাবাদের বনাধিকারিক সৌরীন্দ্রনাথ পাল বলেন, “ওই ওঝার সন্ধান করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে সাপগুলি আমরা নিয়ে নেব। আমরা গ্রামবাসীদের বলেছি যে কোথাও কোনও সাপ বেরোলে যেন খবর দেওয়া হয়।” কোতোয়ালি থানার কালির হাটেও ৩০টি সাপের বাচ্চা পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

হাতির ভয়েই পড়ুয়া-শূন্য স্কুল
হাতির উৎপাতে জঙ্গলের ভিতরে থাকা একটি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে ফিরে চলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ পশ্চিম মণ্ডলের অধীন বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের ফারাবাড়ির কামাতপাড়া প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। জঙ্গলের ভিতর থেকে স্কুলটি অন্যত্র সরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু এই নিয়ে পঞ্চায়েত-প্রশাসন বা শিক্ষা দফতরের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের বৈকুন্ঠপুর বনাঞ্চলের চকটিয়াভিটা বিট এলাকায় জঙ্গলে পানিয়াফাপড়িতে স্কুল থাকলেও কাগজকলমে তা কামাতপাড়া প্রাথমিক স্কুল নামে পরিচিত। ওই স্কুলে মূলত স্থানীয় পানিয়াফাপড়ি, নীচ ফাপড়ি, কামাতপাড়া এমন ৩টি গ্রামের বাচ্চারা পড়াশুনা করে। আশেপাশে প্রাথমিক স্কুল না থাকায় এলাকার বাচ্চাদের শিক্ষার স্বার্থে বহু আন্দোলনের পর ২০০৪ সালে স্থানীয় দুই গ্রামবাসীর দান করা প্রায় এক বিঘা জমিতে স্কুলটি গড়ে ওঠে। দু’জন শিক্ষক। প্রায়ই দিনেই স্কুল সংলগ্ন ওই গ্রামগুলিতে হাতির হামলা হয়। বছর দুয়েক ধরে হাতির উপদ্রব বেশি করে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বাড়িঘর ভেঙে ভিটেবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়ে বসবাস করছে। ফলে এখন পড়ুয়া সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছে। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুক্তালাল মজুমদার বলেন, “জঙ্গলের ভিতরে গ্রামগুলিতে হাতির হামলার কারণে বছর দুয়েক ধরে পড়ুয়া সংখ্যা কমে গিয়েছে। বর্তমানে ৫ থেকে ১০ জন বাচ্চা আসে। আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি। স্কুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে স্কুলটি অন্যত্র সরানো জরুরি।” রাজগঞ্জ পশ্চিম মণ্ডলের স্কুল পরিদর্শক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, “যা অবস্থা তাতে স্কুলটির অস্তিত্বই থাকবে না। সমস্যার কথা জেলা শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছে। কেউ জায়গা দিলে অন্যত্র স্কুলটি করা যেতে পারে।”

স্কুলে হাতির হানা
প্রাথমিক স্কুলে হানা দিল হাতি। দিনে নয়, রাতে। শনিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়ায় ঘটনাটি ঘটে। মেদিনীপুরের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “রেসিডেনশিয়াল একটি হাতি ধেড়ুয়ায় ঢুকেছে। হাতি তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।” শনিবার রাতে ঝরিয়ায় প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে পড়ে হাতিটি। দরজা ভেঙে মিড ডে মিলের চাল-ডাল খেয়ে সাবাড় করে। চেয়ার, বেঞ্চও ভাঙে। খবর পেয়েই বাইরে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। শেষমেশ স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে হাতিটি সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। রবিবার সকালে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ডিএফও বলেন, “হাতির হানায় চাল-ডাল নষ্ট হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।”

বাধ্যতামূলক হবে পোষা কুকুরের লাইসেন্স
পোষা কুকুরের জন্য পুর-লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পুর-আইন মোতাবেক পোষা কুকুরের লাইসেন্স ও তা নবীকরণ আগেও ছিল। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে কড়াকড়ি দেখা যায়নি। পুর-প্রশাসনের হিসেবে শহরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পোষা কুকুরের সংখ্যা ছিল ৩১৫। চলতি বছরে এখনও ৩৫টি লাইসেন্স নবীকরণ হয়েছে। এই লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সম্প্রতি পুর-স্বাস্থ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দফতরের বৈঠক হয়। আগে এই লাইসেন্স দিত স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন থেকে পুর-স্বাস্থ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দফতর যৌথ ভাবে লাইসেন্স দেবে। তা বিলি হবে ওয়ার্ড কমিটির অফিস থেকে। তবে লাইসেন্স ফি চূড়ান্ত হয়নি। পুরকর্তারা জানান, লাইসেন্স নবীকরণ না-হলে পুর-আইন মোতাবেক জরিমানা হবে।
Previous Story Jibjagat First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.