|
|
|
|
ইছামতীর উৎসমুখ সংস্কারে গুরুত্ব সেচ প্রতিমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
নাব্যতা কমে যাওয়া ইছামতী নদীর উৎসমুখ সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। সেই দাবি-সহ নদীটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের বিষয়টি রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল।
রবিবার বনগাঁর পেয়াদাপাড়ায় পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির অফিস উদ্বোধন করতে এসে শ্যামলবাবু বলেন, “আমরা নদীটির উৎসমুখ সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অক্টোবর মাসের বাজেটে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।”
ইছামতীর উৎস নদিয়ার মাজদিয়ার পাবাখালিতে। কিন্তু সেখানে কার্যত এখন আর নদীটির উৎসমুখই খুঁজে পাওয়া যায় না। নদীখাত প্রায় শুকনো। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে গাইঘাটার বর্ণবেরিয়া থেকে কালাঞ্চি সেতু পর্যন্ত ইছামতী সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তাতে নদীর নাব্যতা বাড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উৎসমুখ-সহ নদীটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি ওই কমিটির দীর্ঘদিনের। একই দাবি নদীপাড়ের বাসিন্দাদেরও।
তবে শুধু ইছামতী নয়, চাষের উন্নতির জন্য রাজ্যের সমস্ত বড় নদী ও খাল ড্রেজিং করে সংস্কার করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। এ দিন তিনি বনগাঁয় ইছামতীর পাশাপাশি নাওভাঙা নদীটিও পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির সম্পাদক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। সুভাষবাবু বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইছামতীর উৎসমুখ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। উৎসমুখ সংস্কার না হলে ইছামতীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্ভব নয়। মন্ত্রী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।”
শ্যামলবাবু সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরেরও মন্ত্রী। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি সুন্দরবনের নদীবাঁধ সংস্কারের প্রসঙ্গও তোলেন। শ্যামলবাবু বলেন, “সুন্দরবনে ৭৭৮ কিলোমিটার স্থায়ী নদীবাঁধের জন্য কেন্দ্র ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। রাজ্য সরকারের জমি নীতি ঘোষণা হয়ে গেলেই কাজে হাত দেওয়া হবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ২৬৩ কিলোমিটার বাঁধের জন্য ৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ জন্য গ্রামবাসীদের বোঝানো হচ্ছে। তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছর অস্থায়ী বাঁধের জন্য সুন্দরবনে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। স্থায়ী বাঁধ হলে ওই সমস্যা আর থাকবে না।” |
|
|
|
|
|