টুকরো খবর
|
একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন বিডিও। ঘটনাটি খানাকুল ১ ব্লকের রামমোহন ১ পঞ্চায়েতের। প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, সমীর ঘোষ নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি রঘুনাথপুরে। দূরবর্তী সারদা গ্রামে কিছু রাস্তার কাজে ৪টি মাস্টাররোলে তাঁর নাম উঠেছে। এ বাবদ তাঁর পাওনা ২৪০০ টাকা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন তদন্তে নামে। টাকাও আটকে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসার পরে সারদা গ্রামের সিপিএম সমর্থক তথা প্রকল্পের সুপারভাইজার ঘরছাড়া হয়ে যান। মাস্টাররোল তৈরির দায়িত্ব পান সমীরবাবু। তিনি মাস্টাররোল থেকে কয়েক জনের নাম মুছে সেখানে নিজের নাম ঢোকান বলে অভিযোগ। সমীরবাবু আগে বলেছিলেন, মাস্টাররোল তৈরির পারিশ্রমিক হিসাবে ওই টাকা তিনি দাবি করেছেন। এটা দুর্নীতি হয়ে থাকলে সাজা ‘মাথা পেতে’ নিতে তিনি প্রস্তুত। প্রশাসনিক তদন্তে অভিযোগের সতত্য প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল ১ বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মাস্টাররোলে অন্যের নাম মুছে নিজের নাম লিখেছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশ জানায়, সমীরবাবুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে। তাঁর ফোন স্যুইচড্ অফ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, “যে কোনও বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে আমরা। কেউ যদি তা ঘটিয়ে থাকে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” অন্য দিকে, কয়েক দিন আগে নদীতে মিড ডে মিলের চাল ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মিদ্যার বিরুদ্ধে। তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও সুপ্রভাতবাবু। লরির ধাক্কায় মৃত্যু। শনিবার রাতে আরামবাগের নৈসরাই বাজারে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক সাইকেল আরোহীর। পুলিশ জানায়, শ্যামল কোনার (৩৯) নামে ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে বর্ধমানের দিক থেকে আরামবাগগামী একটি লরি পিছন থেকে ধাক্কা মারে তাঁর সাইকেলে। জখম অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শ্যামলবাবুকে। রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। লরি আটক করা হয়েছে।
|
রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং বেশ কয়েক জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্রের বিনিময়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তারকেশ্বরের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁরা সম্পর্কে ভাই। অভিযুক্ত নীলাদ্রি চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই হিমাদ্রি তারকেশ্বরের বৈদ্যপুরের বাসিন্দা। একই বাড়িতে থাকেন। তারকেশ্বর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লির বাসিন্দা গৌতম স্বর্ণকার এবং আরও কয়েক জন এ ব্যাপারে রবিবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিমাদ্রি ফ্রিজ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সারানোর কাজ করেন। তাঁর দাদা নীলাদ্রি মাস কয়েক আগে পর্যন্ত একটি কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি নিজেকে ‘রেলের অফিসার’ হিসাবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, দুই ভাই-ই কয়েক মাস ধরে ওই এলাকার বেশ কিছু যুবককে টাকার বিনিময়ে রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এমনকী, ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিচ্ছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে এ দিন পুলিশ নীলাদ্রিদের বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। গত কয়েক দিন ধরেই ওই বাড়ির বাসিন্দাদের দেখা মিলছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান। প্রতারিত যুবকদের মধ্যে গৌতম স্বর্ণকারের অভিযোগ, রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দুই ভাই প্রথমে তাঁর কাছে এক লক্ষ টাকা চায়। পরে ৪০ হাজারে রফা হয়। তাঁর কাছে নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিল। তার সঙ্গে স্ত্রীর সোনার গয়না বেচে বাকি টাকা তিনি জোগাড় করেন। গৌতমের কথায়, “টাকা নিয়ে ওরা রেলের নিয়োগপত্র দেয়। গত সোমবার সকালে আমাকে ব্যান্ডেল স্টেশনে আসতে বলে। পরে ফোন করে নীলাদ্রি বলে, আসতে হবে না। পরে ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ফোন আর আসেনি। দু’দিন ধরে ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখছি তালাবন্ধ। জানতে পারি নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।” একই বক্তব্য প্রতারিত আরও কয়েক জনের। পুলিশ জানায়, ওই দুই ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |
অপহরণের চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
এক তরুণীকে অপহরণের চেষ্টা এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের পিসি সেন রোডে বিকে রায় সুপার মার্কেটের ত্রিতল একটি ফ্ল্যাটে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ চার অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আর্থিক অনটনের কারণে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ স্থানীয় আরডি পাড়ার বাসিন্দা সুভাষ পালের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। বছরে ৭২ শতাংশ সুদের চুক্তিতে টাকা মেলে। বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, অনেকটা টাকাই দফায় দফায় শোধ করেছেন তিনি। কয়েক হাজার টাকা বাকি ছিল। বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী শমির্ষ্ঠাদেবীর অভিযোগ, স্বামী যখন বাড়ি থাকতেন না, তখন সুভাবাবু লোকলস্কর নিয়ে এসে নানা ভাবে হুমকি দিতেন। বাকি টাকা শোধ করার কথা বললেও এই ঘটনা বার বার ঘটছিল। অভিযোগ, বিশ্বজিৎবাবুর মেয়েকে নানা কুপ্রস্তাব দিতেন সুভাষবাবুরা। শনিবার রাতে সুভাষ-সহ পাঁচ জন এসে টাকা চায়। টাকা না পেয়ে মেয়েকে জবরদস্তি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। মা-মেয়ের চিৎকারে সকলে পালায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই রাকেশ কচ নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুভাষবাবুর অবশ্য দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বছর খানেক আগে টাকা ধার নিয়েও মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা শোধ করেছেন বিশ্বজিৎবাবু। টাকা চাইতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। শ্লীলতাহানীর মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। হুমকি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করেছেন তিনি। |
রেল লাইনের ধারে যুবকের দেহ ফুলেশ্বরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
রেললাইনের ধারে পড়েছিল এক যুবকের দেহ। কিছুটা দূরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে তাঁর বন্ধু। রবিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর বিভাগের ফুলেশ্বর স্টেশনের কাছে এই ঘটনায় রেল পুলিশ এসে সোমনাথ সরকার (২৫) নামে মৃত যুবকের দেহটি উদ্ধার করে। নেশাগ্রস্ত তাঁর বন্ধু সমীর গায়েনকে আটক করা হয়েছে। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমনাথের বাড়ি চেঙ্গাইলের ২ নম্বর কলোনিতে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ওই এলাকারই বাসিন্দা সোমনাথ ও তাঁদের আর এক বন্ধু বুবাই দে শনিবার রাতে একটি বাইকে চড়ে উলুবেড়িয়ায় আসেন। রাতে সোমনাথ এবং সমীর বাড়ি না-ফিরলেও বুবাই ফিরে যান। সোমনাথের দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে চেঙ্গাইলের বাসিন্দারা বুবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যান। বাউড়িয়া থানা তাঁকে তুলে দেয় রেল পুলিশের হাতে। রেল পুলিশ বুবাইকেও আটক করে। কী ভাবে সোমনাথের মৃত্যু হল, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় রেল পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত সোমনাথের মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে রেল পুলিশ জানিয়েছে। |
‘গণধর্ষণ’, ধৃত আরও ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
সিপিএম পরিবারের বধূকে গর্ণধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে আরও এক জনকে ধরল পুলিশ। কার্তিক কাঁজি নামে ওই ব্যক্তিও এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। এই নিয়ে অভিযুক্ত চার জনই গ্রেফতার হল। কার্তিককে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটে সোমরা রাতে খানাকুলের শশাপোতা গ্রামে। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার ঘরে ঢুকে চার যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। দু’দিন পরে সে কথা পুলিশকে জানান ওই মহিলা। তিন জনকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করে পুলিশ। সকলেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। |
উলুবেড়িয়ায় নৃত্যানুষ্ঠান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
শনিবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ার ‘মিলন নৃত্য মন্দির’ নিবেদন করল পঞ্চম বার্ষিকী নৃত্যানুষ্ঠান। রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নৃত্যশৈলী পরিবেশিত হয়। এ ছাড়াও, সংস্থার শতাধিক ছাত্রছাত্রী রবীন্দ্র-নৃত্য এবং নজরুল গীতির সঙ্গে নাচ মঞ্চস্থ করে। শিশুশিল্পীরা নিবেদন করে ‘কৃষ্ণাবতার’ নৃত্যনাট্য। |
|