গ্রেফতারির ‘গুজব’ নস্যাৎ করে, জিএনএলএ চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন আর সাংমা ওরফে পাকচরা জানিয়ে দিলেন, তিনি মুক্ত। সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর গোয়েন্দাদের একহাত নিলেন তিনি। বললেন, নিজেদের মুখ বাঁচাতে ও গারো যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙে দিতেই মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে ভারতীয়বাহিনী। এদিকে, গারো পাহাড়ে, জিএনএলএ সেনাধ্যক্ষ রবার্ট ডি শিরাকে ধরতে কম্যান্ডো অভিযান চালিয়েও খালি হাতে ফিরল পুলিশ।
সোমবার মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে, চ্যাম্পিয়নকে গৃহবন্দি করা হয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাতস্থান থেকে সংবাদমাধ্যমে ফোন করে চ্যাম্পিয়ন বলেন, “২ জুলাই, আমাদের মারতে এসে নিজেদের সঙ্গীদেরই হত্যা করেছে কম্যান্ডোরা। সেই লজ্জা ঢাকতেই এখন মনগড়া গুজব ছড়ানো হচ্ছে।” সেই সঙ্গে, এমন কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করে নেওয়ায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচডিআর লিংডোর সমালোচনা করেন জিএনএলএ নেতা। চ্যাম্পিয়ন জানিয়ে দিয়েছেন, জিএনএলএ এখনই শান্তি আলোচনায় আসবে না।
চ্যাম্পিয়নের ফোনবার্তার পরেই ৮ জুূলাই জিএনএলএ সেনাধ্যক্ষ রবার্ট ডি শিরাকে ধরতে, গারো পাহাড়ে হানা দেয় কম্যান্ডোবাহিনী। জিএনএলএ জঙ্গিদের সঙ্গে বহুক্ষণ পুলিশের গুলির লড়াই চলে। এরপর উইলিয়ামনগর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে গানিংগ্রে গ্রামে জিএনএলএ সংগঠনের একটি শিবির ভেঙে দেয় জওয়ানরা। সেখানে দু’টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক (আইইডি) মেলে। পুলিশের ধারণা, আলফা জঙ্গিদের কাছ থেকেই তারা পেয়েছে ওই বিস্ফোরক। এর আগে, কম্যান্ডোদের কনভয়ে হানা দেওয়ার ঘটনাতেও জিএনএলএ-র সঙ্গে আলফা বাহিনী একসঙ্গে আক্রমণ করেছিল। ওই দিনের সংঘর্ষের সময়েও আলফা ও গারো জঙ্গিরা একসঙ্গে লড়াই চালায়। পুলিশ জানায়, শিবিরে রবার্ট ও দুই প্রাক্তন পুলিশকর্মী ছিলেন। |