গুজরাত থেকে স্মৃতি ইরানিকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সুপারিশ অগ্রাহ্য করল। দলীয় সূত্রের খবর, আডবাণী চেয়েছিলেন নাজমা হেপতুল্লাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। কিন্তু বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরা তা খারিজ করে তাঁদের মনোনীত প্রার্থীকেই সামনে নিয়ে এলেন। বিজেপি সূত্রের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে দলে আডবাণীর নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্বকে খারিজ করে একটি বার্তাও দেওয়া হল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা গিয়েছে, এর আগেও আডবাণী তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারেননি। বিহার থেকে তিনি এক সম্পাদককে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে বারেও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তা হতে দেননি। ঘনিষ্ঠ মহলে আডবাণী জানিয়েছেন, মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর আর আগ্রহ নেই। কিন্তু ঘটনা হল, এর ফলে বিজেপি-র অভ্যন্তরের বিভাজনটিও কিন্তু স্পষ্ট হয়ে উঠল। নাজমা আডবাণীর খুবই ঘনিষ্ঠ এবং অনেক দিন ধরেই তিনি চাইছেন রাজ্যসভার পদটি পেতে। দলীয় নেত্রী সুষমা স্বরাজও নাজমাকেই চেয়েছিলেন। মোদী বা নিতিন ছাড়াও দলের কোষাধ্যক্ষ পীযূষ গোয়েল, অরুণ জেটলিরা ইরানিকে মনোনীত করার পক্ষে ছিলেন। স্মৃতি ইরানি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সময়ই তাঁর সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক মধুর ছিল না। ইরানি ছিলেন রাজ্য-রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদীর বিপরীত শিবির অর্থাৎ হারিন পাঠকের ঘনিষ্ঠ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ইরানিকে রাজ্যসভার মননোয়ন দিয়ে কৌশলে তাঁকে নিজের শিবিরে নিয়ে এলেন মোদী। |