|
|
|
|
সাইকেলে ধাক্কা নিয়েও সংঘর্ষ বেধে গেল নানুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
সাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে র্যাফ নামে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নানুরের খুজুটিপাড়ায়। দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে। পুলিশ জানায়, কোনও পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে খুজুটিপাড়া বাজার এলাকায় এক সিপিএম সমর্থকের সাইকেলের সঙ্গে এক তৃণমূল সমর্থকের সাইকেলে ধাক্কা লাগে। তাই নিয়ে দু’দলের মধ্যে বচসা ও বোমাবাজি হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। খুজুটিপাড়ায় বরাবরই সিপিএমের প্রভাব রয়েছে। এখানেই রয়েছে সিপিএমের স্থানীয় লোকাল কমিটির অফিস। প্রভাবশালী দলীয় নেতা নিত্যনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িও এই গ্রামে। তৃণমূল নানুরের অন্যান্য জায়গায় প্রভাব বিস্তার করলেও খুজুটিপাড়ায় দীর্ঘ দিন সিপিএমের একছত্র আধিপত্য ছিল। বিভিন্ন সময়ে সিপিএমের দাপটে তৃণমূল সমর্থকদের দোকানপাট লুঠ থেকে শুরু করে এলাকাছাড়া হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বার নানুর বিধানসভাকেন্দ্রটি তৃণমূল দখলে। তার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু খুজুটিপাড়ায় হাওয়া ঘুরতে শুরু করে গত নভেম্বর মাস থেকেই। ওই সময় নিত্যবাবু-সহ সিপিএমের ৪৪ জন নেতাকর্মী সুচপুর গণহত্যায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত নিত্যবাবুর নেতৃত্বে সিপিএম খুজুটিপাড়া নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল। সিপিএমের নানুর লোকাল কমিটির সম্পাদক হাসিবুর রহমানের কথায়, “সামান্য ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকা দখল করতে চাইছে। সেই অভিপ্রায়েই আমাদের এক লোকাল কমিটির সদস্য সোনাময় লোহারকে মারধর করে খুজুটিপাড়া পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিতে বাধ্য করেছে।” সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ পাল্টা দাবি করেন, “সামান্য ঘটনা। মিটেও গিয়েছিল। আসলে সিপিএমই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের এলাকাছাড়া করতে মারধর করেছে।” |
|
|
|
|
|