|
|
|
|
ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কালনায় ধৃত ৫ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
হালদার বাগানে ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ ১৮ হাজার ২০০ টাকা, দু’জোড়া সোনার দুল, একটি সোনার আংটি ও ৮৬ হাজার টাকার একটি নতুন মোটরবাইক।
গত ২০ জুন কালনা শহরের হালদারবাগানে তরুণকান্তি পাল নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। সে দিন রাতে ঘরে ঢুকে একটি সশস্ত্র ডাকাত দল লুঠ করে আলমারিতে রাখা কয়েক লক্ষ টাকা ও কিছু সোনার গয়না। তাদের হাতে জখম হন তরুণবাবুর বন্ধু অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছেলে তন্ময়কান্তি। পরে তারা বাড়ির সদস্যদের একটি ঘরে আটকে রেখে চম্পট দেয়।
পুলিশের দাবি, পাল পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ডাকাত দলটির বিবরণ শুনে এক দুষ্কৃতীর সম্ভাব্য ছবি পায় তারা। এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করে সিআইডি। ৭ জুলাই কালনা থানার ওসি অমিতকুমার মিত্র স্থানীয় সূত্রে জানতে পারেন, ডাকাতির উদ্দেশে এলাকায় একটি নতুন ডাকাত দল তৈরি হয়েছে। ৭ জুলাই বেলা ২টো নাগাদ কালনা শহরের কাছে ইন্দিরা বাজার এলাকা থেকে পুলিশ হীরেন হাওলাদার ও অভিজিৎ মণ্ডল নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের এক জনের বাড়ি লিচুতলা ও অন্য জনের বাড়ি শাসপুর মোল্লাপাড়ায়। পুলিশ জানায়, জেরায় ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে ওই দুই যুবক। হীরেন ও অভিজিতের সূত্র ধরে পুলিশ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম স্বপন মজুমদার, চম্পক হাওলাদার ও নিতাই দেবনাথ। স্বপন ও চম্পকের বাড়ি শহরের ছোট মিত্রপাড়ায়। নিতাইয়ের বাড়ি শাসপুর এলাকায়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ওই পাঁচ জনের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল পেশায় কলের মিস্ত্রি চম্পক। দীর্ঘ দিন কাজ করার সুবাদে পাল বাড়ির অনেক খুঁটিনাটি বিষয় তার জানা ছিল। তার সঙ্গে স্বপনও সেখানে মাঝেমধ্যে কাজে যেত। পুলিশের দাবি, ওই দু’জনই প্রথম বাড়িতে ঢোকে। চেনা গন্ধ পেয়ে বাড়ির কুকুরটিও চিৎকার করেনি।
কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনায় আরও দুই দুষ্কৃতী জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|