রবিবাসরীয় গল্প
নীল ডুরে শাড়ি আর এলোখোঁপা
নীল ডুরে শাড়ি আর এলোখোঁপায় সোহিনী ছিল তার নতুন ঘরে আত্মলালিত যত্নে। মাস দেড়েক আগে সুহাস তাকে নিয়ে এসেছে এখানে। সোহিনী সুহাসের বিয়ে করা বউ নয়। ভালবাসায় মাখামাখি হয়ে সুহাসের সঙ্গে পালিয়ে এসেছে সোহিনী। সোহিনীকে দেখাতে আজ এই প্রথম এই সন্ধ্যায় অনীককে নিয়ে এল তার ডেরায় সুহাস। একটা দোতলা বাড়ির ওপরে এক কামরার ফ্ল্যাট। সোহিনীর দৃষ্টি নিক্ষেপ ফুর্তির মধু ও মনন উছলে আছে। তিন বছরের ছেলেকে ছেড়ে এসেছে। স্বামীকে তো বটে। সুহাসের এটা নিজের বাড়ি নয়, ভাড়া বাড়ি। মা বাবার বাড়িতে সোহিনীকে নিয়ে যেতে বাধা পেয়েছে।
সোহিনীকে ভাগিয়ে আনার দু’দিন পরে সোহিনীর স্বামী বেধড়ক মারে সুহাসকে। তার সে দিন প্রহৃত হওয়ার দিনে নিকট বন্ধুদের শুশ্রূষা লেগেছিল, লেগেছিল সহায়তা সমর্থন। তাদের মধ্যে এক জন অনীক। সুহাস অনীককে মোটর সাইকেলের পেছনে বসিয়ে এখানে আনতে আনতে বলেছিল, ‘যার জন্য এত কাণ্ড তার সঙ্গে দেখা করবে না?’
অনীকও আসতে চেয়েছে, দেখতে চেয়েছে। এসেছে। না জানি কত রহস্যময়তা অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। সন্ধ্যার আকাশ ভরে ছিল কালো মেঘে। একটা হাওয়ার গুমর নিয়ে ছিল প্রকৃতি।
সোহিনী ছিল তার ঘরে শীতের দিনে মিষ্টি রোদ্দুরের মতো। ঠোঁটে হাল্কা হাসি এঁকে এনে আন্তরিক আমন্ত্রণ। যেন কত দিনের চেনা! ‘আসুন আসুন।’
সুহাস বলল, ‘অনীকদা।’
‘এত দিন পরে এলেন? আমি কত দিন হল এসেছি!’
অনীক বিছানায় বসতে বসতে বলল, ‘কত দিন? জন্ম-জন্মান্তর?’
সোহিনী হাসল, কিছু বলল না। বোঝাল, অর্থটা ধরতে পেরেছে।
সুহাস সেল্স-এ কাজ করে, অনীক শিক্ষকতা। এখন সন্ধ্যায় তারা বন্ধু সমাগমে কাটাত। আজ চলে এসেছে এখানে। এখানে ঘরের মধ্যে বর্ষায় স্নাত বেলফুলের গন্ধের মতো মনোরমতা। ঘরের আলো তেমন কড়া নয়। জানলার পর্দা হাওয়ায় দোলে। হয়তো কোথাও বৃষ্টি হয়েছে, ঠান্ডা বাতাস।
সোহিনী চা করতে উঠে গেল।
তখুনি বৃষ্টি এল জানলায়। সুহাস উতলা হল না। ফ্যানের হাওয়ায় ঘাম শুকোচ্ছে। অনীক চোখ মেলে সোহিনীর ঘরের আসবাব-তৈজস দেখছে। একটা ছোট খাট। দু’টি প্লাস্টিকের চেয়ার। একটা আলনা। কিছু হ্যাঙ্গার। একটা জলের ফিল্টার। ঘরের এক কোণে ঠাকুরের আসন।
সুহাস বলল, ‘অনীকদা, সোহিনীকে শুধিয়ে নাও সব কিছু, যা জানতে চাও।’
‘প্রশ্ন তো কিছু নেই।’
‘ওর স্বামীর সম্পর্কে জানতে যদি চাও।’
‘ওর চলে আসার ভেতর সে কথা আছে।’
‘ওর ছেলের কথা?’
‘জানতে চাই না। ওর এখনকার থাকার ভেতর ওকে দেখতে চাই। আর...’
‘আর?’
‘আর ওর শৈশবের ভেতর ওকে দেখতে আমার ভাল লাগবে।’
সেই বাসনার মূলে যেতে চাইল না সুহাস। শুধু বলল, ‘স্নানে যাব। তোমার আপত্তি আছে অনীকদা?’
অনীক বলল, ‘আরামসে যা।’
‘দাঁড়াও সোহিনী চা আনছে।’
বলতে বলতে ট্রেতে করে তিন কাপ চা এনে দাঁড়াল সোহিনী মৃদু পায়ে।
আর ঘরের দরজায় বারান্দায় শিশু কোলে এক মা এসে হাজির। নিঃশব্দে শিশুর মা শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুর অব্যক্ত মুখের শব্দ প্রথমে সুহাসকে সচকিত করে। সুহাস এগিয়ে গিয়ে শিশুর মা-র কোল থেকে শিশুটিকে কোলে নেয়। আদর করে। আট মাসের শিশু। কথা বলতে পারে না। কিন্তু আদর জানে।
সোহিনী শিশুটির উপস্থিতি টের পায়। বিছানায় চায়ের ট্রেটা রেখে চলে যায় দরজামুখো বারান্দায়। ‘আয় রাইন। ও রাইন!’
মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিশুটিকে আদর করে সুহাস-সোহিনী। প্রথমে আদর করে সুহাস। তার পর সোহিনী। শিশুর মা তাই দেখে আহ্লাদিত হয়। হাসি মুখ। মজা পায় ও। এই মজা পেতে উঠে এসেছে ওপরে। নীচের তলায় ভাড়া থাকে। স্বামী অটো-রিকশা চালায়। এদের কথা সুহাসের কাছে শুনেছে অনীক। শিশুটির নাম রাইন, নদীর নামে নাম।
এমনটা বেশ খানিকক্ষণ চলল। কাপের চা জুড়িয়ে যেতে বসেছে। প্রথমে ফিরে এল সুহাস। তার পর সোহিনী। এই শিশুকে আদর করার ব্যাপারটা যেন ভিজে জামাকাপড় রোদ্দুরে শুকিয়ে নেওয়ার মতো ছিল প্রয়োজনীয় তাদের কাছে।
আবার রান্নাঘরে ফিরে গেল সোহিনী। তার মুখে হ্লাদ।
অনীক বলল সুহাসকে, ‘কী বলছিস?’
‘কিছু না তো, বলতে চাইনি।’
‘শিশুটিকে তোরা খুব ভালবাসিস?’
‘এ বাড়ির সবাই ভালবাসে।’
‘সোহিনী?’
‘ওকে দেখলে তো!’
সোহিনীর দৃষ্টিপাতের মধ্যে সে ভালবাসা আছে। শরীরের ভঙ্গিতেও। সোহিনীকে অনীক বুঝতে চাইছিল। তার এই থাকার মধ্যে যে কতখানি সে নিজে নিজেকে রেখেছে! সুহাস একটা সিগারেট ধরায়। জানলায় বৃষ্টির আগায় দাঁড়ায়। সোহিনী ঘরে ফিরে এসে গুনগুন করে কিছু একটা গান গায়। তার পর সযত্ন অবকাশ তৈরি করে নিয়ে বিছানায় অনীকের মুখোমুখি বসে চায়ের কাপ তুলে নেয়, চুমুক দেয়।
সোহিনীকে কাছাকাছি পেয়ে মুখোমুখি পেয়ে প্রশ্ন করল না তার স্বামী কেমন? শিশুটি মা-বাবা কার চোখ পেয়েছে? কে কাঁচা আনাজ এনে দিত বাজার থেকে? মাছ পেত কী ভাবে? রান্নার গ্যাস বুক করত কে? শাড়ি কার পছন্দে কেনা হত। শিশুকে ডাক্তারখানা নিয়ে যেত কে? কার ইচ্ছেয় রান্নার পদ তৈরি হত। স্বামী কতটা রাগী? কতটা বদরাগী? স্বামীকে অপছন্দ হল কীসে? ছেলেকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হয় না? ছেলের এখন দেখাশোনা করে কে? এ সব কোনও কথাই শুধোতে চায় না অনীক। এ সব প্রশ্ন অর্থহীন হয়ে গেছে এখন তার কাছে।
‘ঝালমুড়ি মেখে দেব খাবেন?’
‘খাব। এখন নয়।’
‘সুজির পায়েস করা আছে, খাবেন?’
‘সব খাব। তোমার ছোটবেলার কথা কী মনে পড়ে?’
হেসে ফেলে সোহিনী, ‘ঘুঁটের ছাই দিয়ে দাঁত মাজতাম।’
‘আর?’
‘বাবা খুব চেপে চেপে মাজতে শেখাত।’
‘বাবা তোমার খোঁজ নেয় এখন?’
‘না। দেড় মাস আগে নিত। এখন নয়।’
‘মা?’
‘মা নাকি আসতে চেয়েছে।’
‘কী করে জানলে?’
‘ভাই দীপকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তিন দিন আগে বাগনান স্টেশনে।’
‘কী বলল?’
‘কিছুই বলেনি।’
‘বাবার কথা বলো, শৈশবে তুমি ও তোমার বাবার কথা।’
বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুল যাওয়ার পথে পাড়া ছাড়ালে এক বিশাল বাঁশবাগান পড়ে। এক সকালে স্কুলের পথে বাবার সঙ্গে চলেছিল সে। দু’দিক থেকে আকীর্ণ বাঁশঝাড় নুয়ে এসে অন্ধকার ঘনিয়ে তুলেছিল। সহসা ভয় পেয়েছিল সোহিনী। ‘বাবা ভয় লাগছে’! বাবা তখন সোহিনীর হাত ধরেছিল। এখনও সেই স্মৃতির মধ্যে নিজেকে দেখতে পায় সোহিনী। বাবা খেজুর গাছে রস দিত। টাটকা খেজুর রস খেতে দিত। লাঙল চালাত। ফসল ফলাত। কত রকম ফসল ফলাতে জানে। সব ঋতুর চাষ তার জানা। এখনও লাঙল চালায়, ফসল ফলায়। সারা শরীরে সরষের তেল মেখে স্নান করে। ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে। বাঁশঝাড়ের স্মৃতি বার বার মনে আসে সোহিনীর। আর হাতের মধ্যে হাত ভরে দিয়ে সাহস দিত। জীবনে যত ভয় পায় সেই বাঁশবাগানের স্মৃতি তার মনে পড়ে যায়, যেন এখনও চলছে বাঁশবাগানের পথে বাবার হাত ধরে।
‘আমাদের বাড়িটা উঁচু ঢিপির ওপর, কেননা প্রতি বছর বন্যা হত।’
‘তুমি সাঁতার শিখেছিলে?’
‘বাবা শেখাল।’ একটু চুপ করে সোহিনী ভেবে নিয়ে বলল, ‘বাবা আস্কারা দিত বলে অভিযোগ করত মা। মা-র ছিল মেয়েদের মন। বাবা ছিল আলোর মতো সহজ। মা রান্নার কাজে হাত লাগাতে বললে বাবা বলত, কোথায় কোন বাড়িতে মেয়ে পড়ে, সেখানে খেটে খেটে মরবে, এখানে দোলনকে রেহাই দাও। যত দিন বাপের বাড়িতে থাকবে, খাটবে না। এই কথায় আমার খুব ভাল লাগত।’
‘তোমার বুঝি ডাক নাম দোলন?’
‘ঠাকুমা রেখেছিল। পা ভেঙে পড়েছিল, চিকিৎসা করা হয়নি। তারাও মেয়েদের মন ছিল। স্বামীর নাম ধরত না।’
‘তোমার ছোটবেলায় দাঁত ভাঙার দিনগুলো?’
হেসে ফেলে সোহিনী। হাসলে তার বাঁ গালে টোল পড়ে। ‘দাঁত নড়লে মা দেখতে চেয়ে পট করে ভেঙে দিত।’
‘তুমি সে দাঁত নিয়ে করতে কী?’
‘পুকুরে ছুড়ে দিয়ে মাছকে দিতাম। কখনও ইঁদুরের গর্তে ইঁদুরকে।’
‘শাড়ি পরলে কবে?’
‘জানি না, মনে নেই।’
বাবার সঙ্গে সোহিনী এখনও হেঁটে চলেছে সেই বাঁশবনের পথ ধরে। বাবা তার হাত ধরে রেখেছে। একটু তন্দ্রা এলে সেই ঘটনাটা চলে আসে। নিরন্তর এই যাত্রায় সে থেকে যেতে চায়। যার কোনও ছেদ নেই, বিরাম নেই। ভয় পাওয়া প্রতিবেশে বাবা তার হাত ধরে সাহস জোগাচ্ছে, ভয় তার ভাঙছে। জীবনের ঝুঁকির সঙ্গে যুঝে ওঠার সাধ তাকে যেন নিয়ে চলেছে।
অনীক সোহিনীর সেই শৈশবের গল্পের কাছে ফিরে যেতে ভালবাসছে।
সোহিনী বলল, ‘আমার স্বামী যে অষ্টপ্রহর গঞ্জনা দিত, মারত, সে কথা শুনবে না?’
‘না। শুনব না।’
‘তার নাম জানতে চাইবে না?’
‘কোনও দরকার নেই।’
‘তাদের বাড়ির উঠোনতলায় একটা গন্ধরাজের গাছ ছিল, আমার খুব পছন্দ। সেখান থেকে রূপনারায়ণ নদ কাছে, হেঁটে যাওয়া যায়। মনের মতো একটা সজনে গাছ পেয়েছিলাম। কুয়োর জল কোনও দিন শুকোত না। আর কী ঠান্ডা! এক তলার লাল মেঝেতে গরমের দিনে মুছে নিয়ে শুলে ঠান্ডা পেতাম। আর...’
‘আর ভাল লাগার কথা বলো।’
সোহিনীর আয়ত মুখে সেই টোল, প্রসন্নতা তার মনকে নিয়ে খেলা করছে। বলল, ‘পায়ে আলতা পরার মন কখনও পাইনি।’
‘আর?’
‘ভাই এলে ভাইকে ভাল করে খাওয়াবার সুযোগ থাকত না।’
‘আর?’
‘মন খুলে কাঁদতে পেতাম না। তবে টিভির সিরিয়াল ক’টা মন কেড়েছিল। ওই নিয়ে তো খুশি থাকতাম। আর বাবার ফোনে পাড়াপ্রতিবেশীর খবর শুনলে।’
‘কেমন খবর?’
‘এই যেমন মনুদের বাড়িতে জলবসন্ত চলছে। রাখহরির গাই বিইয়েছে। বৈশাখীর আসছে মাসে বিয়ে।’
‘মা তো তোমার কাছে আসতে চেয়েছে।’
‘মা আসবে, কোনও দিন কখনও।’
‘বাবা?’
‘বাবা খুব ভাল। কিন্তু খুব পুরুষ।’
সোহিনী তার সাক্ষাৎকার দেওয়া ফুরিয়ে ফেলল। বিছানা থেকে নেমে গেল মুখোমুখি থাকা থেকে। কাপ ট্রে দিতে গেলে রান্নাঘরে। তার পর আবার ফিরে এল। এসে অনুচ্চ স্বরে বলল, ‘আর এক বার তো চা খাবেন?’
অনীক বলল, ‘এখন নয়, একটু পরে। সুহাস স্নান থেকে ফিরবে কখন?’
‘ওর একটু স্নানে দেরি হয়।’ এ বার মুখে একটু দুষ্টুমি হাসি গুঁজে নিয়ে বলল সোহিনী, ‘সুহাসের কথা জানবেন না?’
‘কেন, সুহাস কী অন্যায় করেছে?’
‘ওর সঙ্গে আমার ব্যাপারটা।’
‘সে তো অন্যায় কিছু নয়।’
‘আপনি বললেই হবে?’
‘আলবাত, আমার কথা তো আমিই বলব।’
‘লোকে সে কথা তো বলে না।’ সহসা সোহিনীর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে ফোঁটায় ফোঁটায়। ‘ও আমাকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে। ওর বাড়ি মেনে নেয়নি, আমার বাড়ি মেনে নেয়নি। অনেকে মেনে নেয়নি।’
‘বেশ করেছে, তাতে কী?’
‘আমার যে কান্না পায়।’
‘কাঁদো।’
‘ও কষ্ট পাবে।’ আঙুল বুলিয়ে অশ্রু মুছে ফেলে চোখের সোহিনী। মনের এই সুগঠিত সহজতা পছন্দ হল অনীকের। বলল, ‘তা হলে হাসো।’
নিজের মনে হাসতে থাকল সোহিনী।
অনীক বলল, ‘তোমার কাছে তোমার মা আসবে এক দিন।’
‘তাই?’
‘তোমার কাছে তোমার বাবা আসবে এক দিন।’
‘সত্যি?’
‘তোমার কাছে তোমার ভাই আসবে এক দিন।’
একটা চেয়ারে সোহিনী চুপ করে বসে পড়ল। তার পর চোখ বুজে থাকল নিশ্চুপ। অনীক কল্পনা করতে পারল সোহিনীর সেই শৈশবের বাঁশবাগানের স্মৃতি। যেখানে ছায়াময় অন্ধকারে ভয় পেয়েছিল, বাবা সাহস জোগাতে হাতের মধ্যে হাত নিয়েছিল। এই চোখ বুজে থাকার মধ্যে কি সেই স্মৃতি নেই সোহিনীর মধ্যে?
সুহাস স্নান থেকে ফিরে এসেছে। সে সোহিনীকে ও ভাবে বসে থাকতে দেখে কিছু একটা বুঝে সিক্ত ডান হাতের তর্জনী সোহিনীর কপালে বোলাতে থাকে। তাকে আদর দেয়। আনন্দিত করে তোলে। মৃদু কাঁপে সোহিনী, আমোদিত হয়ে চলে। চোখে মন নিয়ে থাকা সোহিনীর এই ভঙ্গিটি অনীক দেখে আর বুঝতে থাকে কিছু। বোঝা আর ফুরোয় না। নীল ডুরে শাড়ি আর এলোখোঁপায় সোহিনী সোহিনীর মতো থাকে।
জানলায় বৃষ্টি এসে ঝরে যায় অবিরত। ঝরে যেতেই থাকে।

ছবি: সায়ন চক্রবর্তী
Probondho Rabibasariyo Magazine



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.