|
|
|
|
বিদ্যুদয়নে নজরদার দল কোচবিহারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে গতি আনতে কোচবিহারে মনিটরিং টিম গড়ল জেলা প্রশাসন। ৪ সদস্যের দলে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কোচবিহারের বিভাগীয় ম্যানেজার, জেলা পরিষদের আধিকারিক, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ছাড়াও রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পের জেলা আধিকারিককে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহারের জেলা পরিষদের সভাধিপতির উপস্থিতিতে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের হাল হকিকত জানতে দফতরের বিভিন্ন আধিকারিককে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই ওই মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই থেকে মনিটরিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে পনের দিন অন্তর বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোচবিহারের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “জেলায় রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্প ছাড়াও রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প চলছে। রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ যোজনার কাজ ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা হলেও তা সম্ভভ হয়নি। সেই জন্যই দুটি প্রকল্পের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলার গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্প নিয়ে বৈঠকের পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। পরিকল্পনার অভাবে জেলায় ওই প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক নয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পে কোচবিহারের ১২টি ব্লকের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে প্রকল্পের কাজ শুরুর সময়ে ঠিক হয়েছিল, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা হবে। সম্প্রতি কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সভাধিপতি বলেন, “প্রকল্পে ৫৭ হাজার ২৪৩টি খুঁটি বসানোর কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৬৩০টি খুঁটি বসানো হয়েছে। ৮১৯২৯টি পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া গিয়েছে মাত্র ৩১১০৭টি পরিবারকে। চলতি বছরের মধ্যে যাতে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয় তা নিশ্চিত করতেই কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পর্যালোচনা হলে সমস্যা দ্রুত মেটানো সহজ হবে।” রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে ১০৭ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ চলছে। যে সমস্ত এলাকা রাজীব গাঁধী বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পে নেই, অথচ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না, এমন এলাকাগুলি ওই প্রকল্পে আনা হয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটা-২, হলদিবাড়ি এবং মেখলিগঞ্জে এই প্রকল্পে আরও ৭৮৩০টি খুঁটি পোঁতা হবে। তার মধ্যে ৩১৪৯টি খুঁটি পৌঁছে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বিভাগীয় ম্যানেজার বিষ্ণু দত্ত বলেন, “গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প আধিকারিকেরা দেখেন। প্রশাসন চাইলে আমরা সব রকম সহযোগিতায় রাজি।” |
|
|
|
|
|