|
|
|
|
এডস আক্রান্তকে নিয়ে ‘টালবাহানা’, বিক্ষোভ মেডিক্যালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
এডস আক্রান্তের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের বাসিন্দা এক রোগীকে প্রথমে চিকিৎসা না করেই ছুটি দিয়ে দেওয়া, পরে ফের ভর্তি করা হলে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এই অভিযোগে শুক্রবার ওই আক্রান্তের পরিজনেরা ও এডস আক্রান্তদের একটি প্রতিষ্ঠানের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালের সুপারের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।
এ দিন এডস আক্রান্ত ওই ব্যক্তির দাদা উত্তম রাউত অভিযোগ করেন, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ১৮ জুন হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি হন ভাই। কিন্তু কার্যত কোনও চিকিৎসা না করেই ২০ জুন তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ ওই রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকেরা। উত্তমবাবু জানান, বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে ভাইয়ের অবস্থার অবনতি হয়। ফের ২৩ জুন তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ভর্তি করা হলেও কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। আরও অভিযোগ, কেন চিকিৎসা করা হচ্ছে না, তা জানতে চাইলে গালিগালাজ করা হচ্ছে। শুক্রবার রোগীকে ফের ছুটি দিয়ে দিতে চান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। এর পরেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, এর পরে তাঁকে হাসপাতালের কলেরা ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা হচ্ছে না। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “উত্তমবাবুর অভিযোগ পেয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে চিকিৎসা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছি।”
এডস আক্রান্তদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দীননাথ গড়াইয়ের অভিযোগ, “এর আগেও ওই হাসপাতালে এডস আক্রান্তের চিকিৎসা করাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিছু চিকিৎসক ও নার্স এখনও এইচআইভি সংক্রমণের ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের দুর্ব্যবহারের মুখে পড়তে হয়েছে। আমরাও যে মানুষ, সেই বোধটাই হারিয়ে ফেলেছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা।”
ডেপুটি সুপার তাপসবাবু এ দিন স্বীকার করেন, হাসপাতালের এক শ্রেণির চিকিৎসক ও নার্সদের এডস আক্রান্তের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তিনি বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সিএমওএইচ ২-এর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে এডস আক্রন্তের চিকিৎসা করতে অনিচ্ছুক চিকিৎসক ও নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের ব্যবস্থা করতে বলেছি। তাতে যদি এই ভীতি কাটানো যায়।” কিন্তু এই অনিচ্ছুক চিকিৎসক বা নার্সদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী ভাবে চিহ্নিত করবেন, তার কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। |
|
|
|
|
|