দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসাই হল না। এই অভিযোগে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার ভাতজাংলা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে মোটরবাইক ও গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অসীম সরকার (৩৮)। তিনি মোটরবাইকে করে আসছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “ওই ভদ্রলোককে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। আমরা হাসপাতালে এসেছিলাম আমাদের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য। তখন দেখি এই অবস্থা। তাঁর হাতে একটা সেলাই দেওয়া ছাড়া আর কোনও চিকিৎসা হয়নি। আমরা সে কথা চিকিৎসক নার্সদের বলতে গেলে দুর্ব্যবহারও করা হয় আমাদের সঙ্গে।” হাসপাতালের সুপার কাজল মণ্ডল বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। পুরো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। যদি দেখি সত্যিই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে, তা হলে যাঁদের গাফিলতি ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের ঘরে ঢুকেই বেধড়ক মারধর করা হল এক চিকিৎসককে।
কিল-চড়-ঘুষিতে চশমার কাঁচ ভেঙে আহত ওই চিকিৎসক শেষ পর্যন্ত সহকর্মীদের আড়ালে প্রাণ বাঁচালেও শুক্রবার সকালে থেকেই ওই ঘটনার প্রতিবাদে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকেরা। পরে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁরা চিকিৎসা শুরু করলেও কর্মবিরতির জের ছড়িয়ে পড়ে ব্যস্ত হাসপাতাল জুড়ে। দূর দূরান্তের গ্রামগুলি থেকে আসা বহু রোগীকেই ফিরে যেতে হয় চিকিৎসা না করিয়েই।
ওই হাসপাতালের সুপার মলয়রাজ চন্দ বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে এমন ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত আমরা এখানে পুলিশি নিরাপত্তা চাইতে বাধ্য হয়েছি।” হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, গত সোমবার শুক্লা ঘোষ নামে স্থানীয় ঝাউতলার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় পরের দিন তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার প্রসব হয় তাঁর। কিন্তু জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় শিশুটি। এরপরেই ওই মহিলারে পরিবারের লোকজন চাকদহে এসে চড়াও হন হাসপাতালে। তাঁদেরই কয়েকজন হাসপাতালের ওটি-তে ঢুকে চিকিৎসক তুষার মণ্ডলকে মারধর শুরু করেন।
|
বেশ কিছু ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পানীয় জলের নলকূপ। ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা সমস্যায় পড়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমনই অবস্থা চলছে। অথচ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিদিন অনন্ত ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী আসেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক দেবাশিস মাইতি জানান, নলকূপটি জেলা পরিষদ থেকে বসানো হয়েছিল। কিন্তু দিন পনেরো আগে সেটি খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকে সেটি আর সারানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের জন্য বাইরে থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দীর্ঘদিনন ধরে কোনও ফার্মাটিস্ট নেই। নেই সুইপার। ফলে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সমস্যা হচ্ছে। কুলপির বিএমওএইচ দুলাল সর্দার বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পানীয় জলের নলকূপ খারাপ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বা স্বাস্থ্যকর্মী না থাকার ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
ইসিএলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দু’দিন ব্যাপী একটি এডস সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। ইসিএলের ৪ জন চিকিৎসক এবং চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কেন্দা এরিয়া অতিথি নিবাসের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।
|
এক দিনের ‘স্বাস্থ্যমেলা’ হয়ে গেল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। জয়নগরের সাংসদ তরুণ মণ্ডলের সাংসদ তহবিলের টাকায় শুক্রবার ওই স্বাস্থ্যমেলায় প্রায় ৪০০ মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসেন। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল, ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক শেখর সেন প্রমুখ। |