|
|
|
|
পাহাড়ে রেশন বরাদ্দ দ্বিগুণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দার্জিলিঙের পাহাড়ি অঞ্চলে রেশনে চাল-আটার বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকেই এই সুযোগ দেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি এ দিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন তিনি। জলপাইগুড়ি থেকে বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী দার্জিলিং যাবেন। বন্ধ চা-বাগান, সেখানকার শ্রমিকদের অবস্থা খতিয়ে দেখে তিনি রিপোর্ট দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
পাহাড়ে মোট প্রাপ্তবয়স্ক রেশন গ্রাহকের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৩৯। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ওঁরা সপ্তাহে সাত টাকা কিলোগ্রাম দরে মাথাপিছু ৮০০ গ্রাম চাল পান। প্রতি কেজি ছ’টাকা ৭০ পয়সা দরে আটা পান মাথাপিছু ৭০০ গ্রাম। দু’টোরই পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।” এ ছাড়াও দার্জিলিঙে বিপিএল রেশন গ্রাহক আছেন প্রায় ৯৫ হাজার। কালিম্পং মহকুমাতেও সস্তায় চাল ও আটা পান বিপিএল রেশন গ্রাহকেরা। পাহাড়ের অন্য মহকুমায় এখনও বিপিএল চিহ্নিতকরণের কাজ চূড়ান্ত হয়নি।
পাহাড়ে রেশন বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে বাড়তি খরচ কত হবে?
খাদ্যমন্ত্রীর জবাব, “কেন্দ্র এক লক্ষ ২২ হাজার টন বাড়তি চাল বরাদ্দ করেছে। মূলত তা থেকেই পাহাড়ে রেশনে বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।” জঙ্গলমহলেও পাঠানো হবে এই কেন্দ্র থেকে পাওয়া এই চাল। কেন্দ্র জানিয়েছে, বরাদ্দ কোটার ৫০ শতাংশ যদি অক্টোবরের মধ্যে বণ্টন করা না-হয়, তা হলে সেই খাদ্যপণ্য অন্যান্য রাজ্যে বিলি করা হবে।
উত্তরবঙ্গে ১৬টি বন্ধ চা-বাগানের ১৫টি জলপাইগুড়িতে, একটি দার্জিলিঙে। এ কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই সব বাগানে ৮৪ হাজারেরও বেশি শ্রমিক আছেন বলে জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় খতিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। তার পরে তিনি চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য প্যাকেজের কথা বিবেচনা করবেন।” |
|
|
|
|
|