|
|
|
|
আইজি-কে স্মারকলিপি |
তপনের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করল সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ডাবগ্রামের সিপিএম নেতা তপন দেবনাথের অপমৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে উত্তরবঙ্গের আইজি রণবীর কুমারকে স্মারকলিপি দিল দার্জিলিং জেলা সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার অভিযোগ করেন, থানায় ৭ ঘণ্টা অত্যাচার চালিয়ে তপনবাবুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তবে সিপিএমের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তপনবাবুর বাড়ির কোনও লোক ছিলেন না। ওই মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে বন্ধ ডেকেছিল সিপিএম। বন্ধের জেরে দোকানপাট, বাজারের একাংশ বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধে কোনও গোলমাল হয়নি।
পাশাপাশি, ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু নতুন তথ্যও পুলিশ পেয়েছে। তপনবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে একটি ‘সুইসাইড নোট’ মিলেছিল বলে এলাকায় জল্পনা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগও করেছে।
তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মত
উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তকারী দলের অফিসাররা জানান, ‘সুইসাইড নোট’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে
কেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিপিএম নেতা জীবেশবাবু অবশ্য দাবি করেন, ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া যায়নি। মৃত সিপিএম নেতার ছেলে প্রসেনজিৎবাবুও বলেছেন, “কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।” জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার
আনন্দ কুমার জানান, তাঁরাও ‘সুইসাইড নোট’-এর বিষয়টি শুনেছেন। সে জন্য আলাদা করে তদন্তও হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভক্তিনগর থানার জনতানগরের বাসিন্দা তপনবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়
তাঁর ঘর থেকেই। ঘটনাচক্রে আগের দিনই গায়ত্রী সাউ নামে এক জন মহিলা তাঁর জমি জবরদস্তি বিক্রি করতে বাধ্য করিয়েছেন তপনবাবু, এই অভিযোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গৌতমবাবু গায়ত্রত্রীদেবীকে থানায় নিয়ে যান। পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। তার পরেই তপনবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নেমে পড়ে সিপিএম। তবে মৃত সিপিএম নেতার বাড়ির লোকজন কিন্তু এখনও আন্দোলনে সামিল হননি। তপনবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎবাবু বলেন, “আমরা
যা বলার পুলিশকে বলেছি। পুলিশ সব দেখবে। সিপিএমের পক্ষ থেকে কী করা হবে তা নেতারা ঠিক করবেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।” |
|
|
|
|
|