|
|
|
|
মানবাজারে পুকুরে মিলল মূর্তি খোদাই করা পাথর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
পাথরের গায়ে খোদাই করা মূর্তি। বৃহস্পতিবার রাতে এ রকমই কয়েকটি পাথর উদ্ধার হয়েচে মানবাজার থানার সাঁওদা গ্রামের একটি পুকুর থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা জন্মেঞ্জয় বাউরি, গাজন সিং, তপন বাউরিরা জানান, রাতে তাঁরা মল্লারবাঁধ নামের ওই পুকুরে গিয়েছিলেন। পুকুরের একটি গর্তে দেখেন প্রায় তিন ফুট চওড়া ও পাঁচ ফুট লম্বা পাথরের কিছু অংশ উঁকি মারছে। তাঁদের কথায়, “আমরা গর্ত থেকে পাথরটাকে টেনে বার করি। টর্চের আলোয় দেখি, তার গায়ে মূর্তি খোদাই করা। গ্রামের যুবকদের নিয়ে রাতেই চারটি বড় মাপের পাথর গ্রামের মোড়ে বটতলায় নিয়ে আসি।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবার সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়। বড় পাথরটিকে ঘিরে পুজোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাতে পাহাড় হাতে হনুমানের মূর্তি খোদাই করা। মুখের অংশ অবশ্য ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। বাকি পাথরগুলিতে মূর্তি থাকলেও তা অস্পষ্ট। এলাকার বাসিন্দা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের মানবাজার লোকাল কমিটির সম্পাদক অজিত বাউরি বলেন, “আমাদের ধারণা, ওই পুকুরে এমন আরও কিছু মূর্তি খোদাই করা পাথর মিলতে পারে। কিছু দিন আগেই ওই পুকুরের সংস্কার হয়েছে। এর পরে লাগাতার বৃষ্টির ফলে মাটি ধুয়ে পাথর বেরিয়ে এসেছে।” মানভূম কলেজের টিচার-ইন-চার্জ তথা ইতিহাসের গবেষক প্রদীপ মণ্ডলের কথায়, “রাঢ়বঙ্গের এই অংশে এক সময় জৈনধর্মের প্রসার ছিল। মানবাজার ও পুঞ্চা থানা এলাকায় জৈনধর্মের অনেক প্রত্ন-নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু হনুমানের মূর্তি খোদাই করার এই পাথর কোন সময়ের, তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। খনন করলে আরও নিদর্শন মিলতে পারে।” মানবাজারের বিডিও কমলচন্দ্র দে বলেন, “পুকুর থেকে পাথরে খোদাই করা মূর্তি মিলেছে বলে জানতাম না। প্রত্ন-নিদর্শন হিসাবে সেগুলির ঐতিহাসিক মূল্য আছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|