টাকা তুলে নেওয়ার নালিশ হুড়ার আদিবাসী পরিবারের
কশো দিনের কাজের প্রকল্পে তাঁরা কাজ করেননি। অথচ তাঁদের নামে টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি হুড়া থানার পাঁজনগোড়া গ্রামের একটি আদিবাসী পরিবারের। বিষয়টি তদন্তের দাবিতে সম্প্রতি পুরুলিয়ার (সদর) মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্য ভন্দড় মুর্মু।
গ্রামটি মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। ভন্দড় মুর্মু জানান, তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জবকার্ড তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের জবকার্ডও তৈরি হয়। তাঁর অভিযোগ, “কয়েক দিন আগে আমরা ডাকঘরে চারটি পাসবুক দেখে অবাক হয়ে যাই। ২০০৮ সালের পরে কোথাও একশো দিনের কাজের জন্য আবেদন করিনি এবং কাজও করিনি। অথচ আমাদের পারিশ্রমিক হিসেবে বিশাল অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।”
পুরুলিয়ার (সদর) মহকুমাশাসক শান্তনু দাস বলেন, “এই মর্মে আমার কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আমি ওই ব্লকের বিডিওকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “মহকুমাশাসক আমাকে অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। মাগুড়িয়া ডাকঘরের পোস্টমাস্টারের কাছে ওঁরা যে স্লিপগুলি দিয়ে টাকা তুলেছেন সেগুলি চেয়ে পাঠিয়েছি। দু’বার চিঠি দেওয়ার পরেও পোস্টমাস্টার ওগুলি দিতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ওই স্লিপগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবু তদন্তের জন্য সেগুলি জরুরি বলে ফের পোস্টমাস্টারকে চিঠি দিচ্ছি।”
পাঁজনগোড়া গ্রামের মাঝপাড়ার বাড়িতে ভন্দড় মুর্মু বলেন, “এক দিন আমার ছেলে জানাল, আমার স্ত্রী, মেয়ে, পূত্রবধূ এবং আমার নামে প্রায় এক লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। শরীর ভাল নেই। তাই টানা কাজ করতে পারি না বলে দীর্ঘ দিন কাজই করিনি।” তাঁর পূত্রবধূ সীমাদেবীর অভিযোগ, “আমি ২০০৯ সাল থেকে কোনও কাজ করিনি। জবকার্ডের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ওই বছর জানুয়ারি মাসে। পাসবুকে দেখা যাচ্ছে ২০১০-এর মার্চ মাসের ৮, ১০, ১৯, ২৯ তারিখের পরে ৭ এপ্রিল টাকা লেনদেন হয়েছে।” মাগুড়িয়া ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পশুপতি দাস অবশ্য বলেন, “বিষয়টি যেহেতু তদন্ত সাপেক্ষ তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে মুখ খুলব না। তবে এটা বলতে পারি, আমাদের এখানে গণ্ডগোল নেই।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.