সঙ্গীত সমালোচনা ...
ফিরে পাওয়া
নবিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় ও বিস্মৃতপ্রায় বাংলা গান নিয়ে সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিলেন নূপুরছন্দা ঘোষ। রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল ও দিলীপ রায়ের গান। শিল্পীর সঙ্গে ভাষ্যপাঠে ছিলেন অমিত রায়। নূপুরছন্দার সঙ্গে তাঁর সংস্থার প্রায় ২৫ জন ছাত্রছাত্রী সুরে-সুরে প্রতিধ্বনি করলেন ওই সঙ্গীত ভাণ্ডারকে। শুরু স্তোত্রপাঠ দিয়ে। পরে একক সঙ্গীতে রজনীকান্তের ‘শুনাও তোমার অমৃতবাণী’ ভাবানুসারী গায়কিতে শিল্পীর পরিশীলিত রুচির প্রকাশ ঘটে। অতুলপ্রসাদের গানে ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’, ‘ডাকে কোয়েলা’ বৈচিত্রময় সুর-সৃষ্টির প্রকৃত রূপ ধরা দেয়। দ্বিজেন্দ্রলালের গান ‘বেলা বয়ে যায়’ সহ প্রতিটি গানেই নাটকীয়তা ও তালের ছন্দোময়তা ফুটে উঠেছে। দিলীপ রায়ের গানেও সেই একই বৈচিত্র পরিলক্ষিত হয়। শেষে ছিল দেশাত্মবোধক গানের একটি কোলাজ। শ্রোতারা তখনও যেন সেই ঊনবিংশ শতকের সুরের মোহময় জগতে। শিল্পীর সার্থকতা সেখানেই।

স্বতঃস্ফূর্ত
মজলিশ-এর আয়োজনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিল ভজন। পরিবেশন করেন মুক্তি দে। তবলায় সাহায্য করেন গোপাল দাস। তবলা লহরার সামগ্রিক পরিবেশনায় প্রতিভার পরিচয় রাখেন বোধিমন দাশগুপ্ত। রিখিয়া রায়চৌধুরীর ভরতনাট্যম উপস্থাপনায় ধ্রুপদীয়ানা এবং অভিনয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ ভাল লাগে। সেতারে আকর্ষক অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে সবার মন কাড়েন সৃজনী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাগ পুরিয়ার সংক্ষিপ্ত আলাপ ও জোড়ে সুর, ছন্দ-গমকের সুচারু ব্যবহারে রাগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মেলে ধরেন। অতি দ্রুত্ লয়ে ঘষিট ও ঝালায় চিকারির প্রয়োগ নিঃসংশয় রেওয়াজের নিদর্শন বহন করে। তবলায় অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিমিতিবোধ ও বুদ্ধিদীপ্ত সহযোগিতা প্রশংসার দাবি রাখে। শুভাশিস মুখোপাধ্যায় শোনান ইমন। সুরেলা কণ্ঠে সুন্দর স্বর-সংযোজনায় স্বল্প সময়েই রাগটি সঠিক স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরের রাগাশ্রয়ী বাংলা গানটি তাঁর কণ্ঠে মনোজ্ঞ রূপ পায়। তবলায় মানব দাশগুপ্ত এবং হারমোনিয়ামে অনির্বাণ চক্রবর্তীর সপ্রতিভ সাহচর্যে অন্য মাত্রা পায়। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি সুপ্রতীক সেনগুপ্ত-র সেতার বাদনে। চয়িত রাগ কৌশিকী কানাড়া। আলাপটি শ্রুতি-সুখকর। গতটিও রাগ সৌন্দর্যের পরিণত পরিচয় বহন করে। ত্রিতাল গতে লয়কারি উল্লেখের দাবি রাখে। সন্দীপ ঘোষের অপূর্ব তবলা সঙ্গত বাজনা জমিয়ে দেয়।

ফাগুন হাওয়ায়
সুজাতা সদনে ‘সুরঙ্গমা কলাকেন্দ্র’র অনুষ্ঠানে গৌতমবরণ অধিকারী গাইলেন ‘বসন্তে বসন্তে তোমার কবিরে’। দরাজ গলা। মালবিকা ভট্টাচার্য গাইলেন ‘রোদন ভরা এ বসন্ত’। সুচিন সিংহের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ শ্রোতাদের মনে থাকবে বহু দিন। এ ছাড়াও ছিলেন শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, গোপাল পাত্র, সুছন্দা ঘোষ, মানসী ভট্টাচার্য, সংযুক্তা ভাদুড়ি, বেলা সাধুখাঁ, কুমকুম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। আবৃত্তিতে তাপস নাগ, প্রসূণ গুহ।
Previous Item Patrika Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.