|
|
|
|
|
|
|
|
মশলামুড়ি... |
|
|
রুদ্রর ফেরা |
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এক হপ্তা হল। কী ভয়ঙ্কর অ্যাক্সিডেন্ট যে হয়েছিল! বন্ধুরা আতঙ্কিত। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ছিল টালিগঞ্জও। হাজার হোক, ন’কোটি টাকার কাজ আটকে গিয়েছিল যে। কার কথা হচ্ছে? রুদ্রনীল ঘোষের। ৬ জুন, গল্ফ গ্রিনের কাছে গাড়িতে ওঠার সময় পিছন থেকে আরেকটা গাড়ি এসে ধাক্কা মেরেছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর কি সত্যিই অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল? টালিগঞ্জে জোর কানাঘুষো, ওটা নাকি অ্যাক্সিডেন্ট নয়। ইচ্ছাকৃত... যা হোক, সে সব এখন অতীত। স্টুডিওয় ফেরা আর ক’দিনের অপেক্ষা। হাজার হোক তাঁর অসুস্থতার জন্য আটকে যাওয়া ছবির সংখ্যা তো কম নয়। মৈনাক ভৌমিকের ‘বেডরুম’, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের পরের ছবি, বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের ছবি তো ছিলই। এরই মধ্যে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী তাঁর ‘অপরাজিতা তুমি’র পরের ছবিও প্ল্যান করে ফেলেছেন। রুদ্র আর আবির চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। এত ছবি আটকে আছে, কবে ফ্লোরে ফিরবেন রুদ্র? “এই তো জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমি ব্যাক টু স্টুডিও,” বলছেন রুদ্রনীল। সে সব তো ঠিকই আছে। কিন্তু তাঁর বন্ধুরা বলছেন, দিন-দিন টালিগঞ্জে রুদ্রর প্রভাব বাড়ছে। প্রভাব বাড়লে শত্রুসংখ্যাও বাড়ে। বালাই ষাট! |
|
যত কাণ্ড বোলপুরে |
‘রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য’র আউটডোর। ফেলু মিত্তিরকে নিয়ে পরের ছবিতে রক্তের দাগ ধরল কি ধরল না, ছবির এক প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অভব্যতার জন্য নিগৃহীত হল। ছবি করতে গিয়ে মারামারি কেন? তাও যেখানে স্বয়ং ফেলুদা লোকেশনে। আসল গল্পটা জানা গেল। একদল ছাত্রছাত্রী বোলপুর এসেছিলেন নিজেদের প্রজেক্টের কাজে। ছিলেন একই হোটেলে। আর সংশ্লিষ্ট লোকটি নাকি সেই দলের ছাত্রীদের গভীর রাতে হোটেলের ইন্টারকম থেকেই ফোন করছিল। ছিল আরও নানা অভিযোগ। এর পর, কিছু উত্তেজিত ছাত্র লোকটিকে দিল বেদম মার। রক্তারক্তি কাণ্ড। সে কারণেই নাকি হঠাৎ শু্যটিং বন্ধ করে বোলপুর থেকে ফিরে যেতে হয় পুরো ইউনিটকে। যদিও ছবির প্রযোজক ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের মহেন্দ্র সোনি অস্বীকার করে বলছেন, “শু্যটিং বন্ধ হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টির জন্য।” আরও অনেকের একই দাবি। কোনটা সত্যি? সে রহস্যের কিনারা তো ফেলুদা কখনওই করবেন না। বোলপুর এখন নানা কাণ্ডে সরগরম। গত সোমবার বৃষ্টির মধ্যে পরিচালক নীতিশ রায়ের ক্যামেরা ট্রলি স্লিপ করে চলে গেল পুকুরে। কলকাতা থেকে পরদিন ক্যামেরা আনিয়ে ফের শু্যটিং। |
|
আমির-কোয়েল এক কাজে |
এ দিকে কোয়েল মল্লিক। ও দিকে আমির খান। মানে? ওঁরা কি পর্দায় একসঙ্গে? না বৌদি, না। তবে দু’জনেই জড়িয়ে পড়ছেন ‘ইউনিসেফ’-এর সমাজ সেবামূলক কাজে। কোয়েল বললেন, “গ্রামগঞ্জের কন্যাসন্তানদের শিক্ষা, মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়---- এই দুটি ব্যাপারেই টিভির মাধ্যমে প্রচারে নামছি। খুব শিগগির। শু্যটিং হয়ে গেছে। এই ধরনের কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি।” আর কোয়েলের সঙ্গে আমির জুড়ছেন কী ভাবে? আরে, আমিরেরও সেবামূলক কাজে অসীম আগ্রহ আছে। শোনা যাচ্ছে আমিরও ‘ইউনিসেফ’-এর সেলিব্রিটি অ্যাডভোকেট হয়েছেন। অপুষ্টিতে ভোগা বাচ্চাদের সুস্থ জীবন দেওয়াই হবে তাঁর প্রচারের মূল লক্ষ্য। কোয়েল কিন্তু এখন পাকাপাকি সমাজসেবিকা। বিয়ের চার মাস পর হনিমুন। সে আবার কী! তা হলে আর বলছি কী বৌদি? একে বলে কাজের চাপ। আরে আমাদের জিৎ গো। বিয়ে হয়েছে সেই ফেব্রুয়ারিতে আর স্ত্রী মোহনাকে নিয়ে হনিমুন করতে গেলেন গত সোমবার। কেন? আরে বিয়ে হল যখন, তখন ‘শত্রু’র শু্যটিং চলছে। সে পর্ব শেষ হতেই নিজের আর ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় কোয়েলের সঙ্গে পরের ছবি।
সেই ছবির প্রথম দফার কাজ শেষ করে তবে একটু নিঃশ্বাস ফেলার সময়। তারই মধ্যে আবার ‘শত্রু’র মেগামুক্তি। উল্টো দিকে দেবের ‘পাগলু’। বাজার সরগরম। জিৎ কিন্তু এ সবের মধ্যেও ‘কুল’। ‘কুল’ বলেই তো বৌকে নিয়ে ইউরোপ ঘুরতে গেলেন ‘শত্রু’র মুক্তির চার দিনের মধ্যেই। “‘শত্রু’ নিয়ে কনফিডেন্ট। অনেক কাজ হল, এ বার একটু ছুটি। ঘুরে এসেই আবার ঝাঁপাতে হবে,” বলছেন জিৎ। এত দেরি করে হনিমুন, মোহনা রাগ করেননি? উত্তরে জিৎ মিটিমিটি হাসছেন। হাসিই বলে দেয় বৌকেও অবলীলায় মানিয়ে নিয়েছেন টালিগঞ্জের ‘কুল’ নায়ক। |
|
|
মিশ্রণ: হুকাকাশি, কানামাছি, সত্যবতী |
|
|
|
|
|