এস্কিমো
শিকড়ের খোঁজে
নিজের ফেলে আসা শিকড়কে খুঁজতেই ফিরে গিয়েছিলেন এস্কিমো পুরুষটি। তিনি সামি উপজাতির। সঙ্গে কিশোর পুত্র। এখান থেকেই শুরু মার্টিন জে ডিগনার্ডের সিনেমা ‘গ্রেট নর্থ’।
কলকাতার সায়েন্স সিটির স্পেস থিয়েটারে চলছে এই সিনেমার প্রদর্শন। সায়েন্স সিটির অধিকর্তা অরিজিৎ দত্তচৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ছ’মাস সায়েন্স সিটিতে এই সিনেমা দেখানো হবে।
ছবিটি ইতিমধ্যেই বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। ‘গ্রেট নর্থ’-এ যেমন রয়েছে শিকড়ে ফেরার কথা, তেমনই রয়েছে উত্তর মেরু ও তার সংলগ্ন এলাকার সংস্কৃতি ও বন্য প্রাণীদের কথা।
সিনেমায় বারবারই ফিরে এসেছে এস্কিমো বিশেষ করে সামি উপজাতির জীবনযাপনের নানা দিক। শুরুতেই নদীর জল খেতে খেতে লোকটি বলছিলেন তাঁর বাবা ও ঠাকুরদাদার কথা। যে পরিবেশে তাঁরা বেঁচে থাকতেন, তার পরিচয় মেলে সিনেমার শুরুতেই। সিনেমায় মাঝেমধ্যেই সাদা-কালো ছবিতে ফিরে এসেছে পুরনো নানা তথ্যচিত্র।
শুধু মানুষ নয়, পর্দায় হাজির হয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের সর্বক্ষণের সঙ্গী রেন ডিয়ারও (এক প্রজাতির হরিণ)। মানুষের জীবনযাপনের পাশাপাশি ডিগনার্ড দেখিয়েছেন ওই অঞ্চলে রেন ডিয়ারের জীবনের নানা দিক।
এসেছে এক সামি-বুড়োর কথাও। উপজাতি ভাষায় যে গান শোনায় তরুণী সঙ্গীকে। পোষা রেন ডিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে একা ঘুরে বেড়ায় সে। রয়েছে এক দল যাযাবরের কথাও।
সিনেমার শেষে এক শীতের দিনে কিশোর পুত্রকে ইগলু তৈরি করা শেখাচ্ছেন সেই এস্কিমো বাবা। আর বলছেন, তিনি ঠিক এ ভাবেই তাঁর বাবার থেকে ইগলু তৈরির কৌশল শিখেছিলেন। একেই বোধহয় বলে শিকড়ের সন্ধানে যাত্রা।
ছবি দেশকল্যাণ চৌধুরী
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.