|
|
|
|
|
সাবাইনা টেস্টের কাহিনির
নাম প্রবীণ কুমার
রবি শাস্ত্রী |
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় কোনও দিক থেকেই সহজ ছিল না। সাবাইনা পার্কের পিচ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করেনি। ভুলভাল আম্পায়ারিং তো ছিলই। মাঠে খুব বেশি হাওয়া ছিল বলেও হয়তো ভারতের স্পিনারদেরও ম্যাড়ম্যাড়ে দেখিয়েছে এই ম্যাচে।
তবে সাবাইনা টেস্টের কাহিনি একটাইপ্রবীণ কুমার। ও খুব বেশি কথা বলে না। চুপচাপ থাকে। কিন্তু ভারতীয় ড্রেসিংরুমের অত্যন্ত প্রিয় সদস্য। প্রবীণের মধ্যে একটা সারল্য আছে। সেটা অবশ্য হাতে বল থাকার সময় নয়। এর আগে অনেকেই ভাবতেন, প্রবীণ টেস্ট ক্রিকেটের চাপ নিতে পারবে না। যার জন্য গত দু’বছরে ওকে বাদ দিয়ে অনেক তরুণ পেস বোলারের টেস্ট অভিষেক ঘটেছে।
প্রবীণের ভাগ্যই ওকে ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্টে সুযোগ করে দিল। জাহির-শ্রীসন্থ টেস্ট সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নির্বাচকেরা প্রবীণকে বলেন, টেস্ট দলের সঙ্গেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে থেকে যেতে। তার পরেও হয়তো প্রবীণ এই টেস্ট খেলার সুযোগ পেত না। যদি না মুনাফ পটেলের কনুইয়ের চোট থাকত। |
|
জীবনের প্রথম টেস্টে দু’ইনিংস মিলিয়ে ৮০ রান দিয়ে ৬টা উইকেটদলে নিজের গুরুত্ব বোঝাতে একটুও সময় নষ্ট করেনি প্রবীণ। মনে রাখবেন, ওর ছ’টা উইকেটই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। এটা বলা যেতেই পারে, প্রবীণ যে সময় উইকেটগুলো নিয়েছে, প্রত্যেক বারই ভারতের সেই সময় একটা উইকেট খুব দরকার ছিল। ক্যারিবিয়ানের গরম, ফলো থ্রু-তে বারবার পিচের বিপজ্জনক জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য ওই ইনিংসে আর বলই না করতে পারাকোনও কিছুই প্রবীণকে টলাতে পারেনি। টেস্ট ম্যাচটার মাঝামাঝি দেখলাম ও নিজের চুল ছেঁটে ফেলেছে। মানে ও নানা ভাবে বিশ্বকে চমক দিতে পারে! মোট কথা, প্রবীণ দেখিয়ে দিয়েছে, ও খুব চালাকচতুর একজন ক্রিকেটার। যে নিজের বোলিংটা বোঝে আর অহেতুক নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে মাথা ঘামায় না। |
|
|
|
|
|