|
|
|
|
হার্পারকে আর আম্পায়ার চায় না ভারত |
খারাপ বোলিংয়ে বাধ্য করে দ্রাবিড়: ধোনি |
সংবাদসংস্থা • কিংস্টন (জামাইকা) |
সাবাইনা পার্কে প্রথম টেস্ট জিতে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার সাড়ে আট বছর আগে যে কর্ণাটকী টেস্ট জীবন শুরু করেছিলেন সেই রাহুল দ্রাবিড়ের প্রতি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছিলেন সবচেয়ে শ্রদ্ধাশীল। “দ্রাবিড় ব্যতিক্রমী ব্যাটসম্যান। বোলারকে বাধ্য করে ওর সুবিধামতো জায়গায় বল ফেলতে। এই টেস্টেও সেটা করেছে,” বলেছেন ধোনি।
একইসঙ্গে তাঁর দলের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরও প্রশংসা করেছেন ধোনি। বলেছেন, “এই টেস্টে যে ভাবে হরভজন, অমিতরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে সাহায্য করেছে, তার তুলনা হয় না। প্রথম ইনিংসে রায়না আর ভাজ্জির ওই পার্টনারশিপটা না হলে তো আমরা ১৫০-ও পেরোতাম না।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা আবার তাঁদের অধিনায়ক ডারেন স্যামির তোপের মুখে পড়লেন। হতাশ স্যামি বলেছেন, “এ বার তো দেখছি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডসকে দলে ফেরাতে হবে।” ম্যাচের সেরা রাহুল দ্রাবিড় যদিও বলেছেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমকে খারাপ বলা চরমতম ভুল হবে। আমাদের থেকে কোনও অংশে কম প্রতিভাবান নয় ওদের প্রথম সাত ব্যাটসম্যান।” |
|
তবে দ্রাবিড়ের মনে হয়েছে পাঁচ বছর আগে সাবাইনা পার্কে আরও কঠিন পরীক্ষা জিতেছিলেন। “২০০৬-এ এই পিচে ব্যাটিং আরও কঠিন ছিল। এখন অবশ্য পেস-স্পিন দু’টোই কিছুটা সাহায্য পাচ্ছে,” মন্তব্য তাঁর। ৩২তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েও দ্রাবিড় কিন্তু এখনও বিদেশ সফরে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলার অভাব বোধ করছেন। বলেছেন, “ছ’মাস পর টেস্ট খেলছি। কোনও ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ নেই। নিজেকে তৈরি করার সুযোগ সে ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।”
ধোনি আবার প্রবীণ কুমারেরও প্রচুর প্রশংসা করেছেন। “প্রবীণ স্কিলফুল পেসার। খুব জোরে বল না করলেও দু’দিকে সুইং করানোর যে ক্ষমতা আছে তাতেই ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলতে পারে।” সঙ্গে যোগ করেন, “প্রথম ইনিংসে বোলিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে বল করল তাতেই ওর আত্মবিশ্বাস বোঝা যায়।”
তবে আম্পায়ার ডারেল হার্পারের সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন ধোনি। “যদি ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, তা হলে টেস্টটা আরও আগে শেষ হয়ে যেত। এতক্ষণে আমরা হোটেলে ফিরে যেতে পারতাম,” বলেন ধোনি। সিরিজের তৃতীয় টেস্টেও দায়িত্বে থাকবেন অস্ট্রেলীয় হার্পার। ভারতীয় দলের কয়েক জন সিনিয়র তীব্র বিরক্ত । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র বলেছেন, “হার্পারকে চাই না। এটা গোটা দলের প্রতিক্রিয়া।” ভারতীয়দের মতে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত তিনটে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেন হার্পার। রায়না, হরভজন ও ধোনির আউটে। ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে দু’বার ব্রাভো এবং এক বার চন্দ্রপলকে আউট দেননি। টেস্ট শেষে ভারতীয় দলের কয়েক জন ঘনিষ্ঠমহলে ‘ডারেল হার্পার ৬ নট আউট’ বলে ব্যঙ্গও করেন। |
|
|
|
|
|