|
|
|
|
দলীয় সদস্যের আনা অনাস্থায় অপসারিত তৃণমূলের প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁচলা |
দলীয় সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়ে সরে যেতে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পাঁচলার বিকি-হাকোলা পঞ্চায়েতে। শুক্রবার পাঁচলার বিডিও-র নির্দেশে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হয়। পরাজিত হন প্রধান শিশির সাহা। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এই পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৫। তারমধ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেসে সদস্য ৬ জন করে, বিজেপি-র সদস্য ২ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থিত নির্দল সদস্য ১ জন। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন তৃণমূলের ৫, কংগ্রেসের ৩ এবং বিজেপির দুই সদস্য।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিজেপি জোট গড়ে লড়াই করে। ভোটে জিতে প্রধান হন তৃণমূলের শিশিরবাবু। গত ১৩ জুন তৃণমূলের পাঁচ জন সদস্য বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। কংগ্রেস এবং বিজেপি সদস্যেরা প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। বিডিও শুক্রবার ভোটাভুটির নির্দেশ দেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের সমর্থকদের তরফে নমিতা রায় বলেন, “প্রধান ঠিক মতো কাজ করতে পারতেন না। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য টাকা আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। তার ফলেই আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হই। কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রস্তাব সমর্থন করে।”
যদিও দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের এ হেন কাজে বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। এ বিষয়ে হাওড়া জেলা পরিষদে বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য। আমি দলের পাঁচ জন সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, অনাস্থা প্রস্তাব এনে দলীয় প্রধানকে সরানো যাবে না। প্রয়োজন হলে আলোচনার মাধ্যমে দলীয় পর্যায়ে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” ওই পাঁচ জনকে বৈঠক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল বলে অজয়বাবু জানান। তাঁর মতে, দলীয় নির্দেশ না-মেনে ওই পাঁচ জন যে ভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রধানকে সরালেন তা দলীয় নীতির পরিপন্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে অজয়বাবু জানিয়ে দেন। চেষ্টা করেও সদ্য অপসারিত প্রধান শিশির সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |
|
|
|
|
|