টুকরো খবর

গঙ্গানদীর বাঁধে ধস উলুবেড়িয়ায়
ছবি: হিলটন ঘোষ।
প্রতি বারের মতো এ বারও বর্ষার শুরুতে উলুবেড়িয়া শহর সংলগ্ন গঙ্গার বাঁধের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার তিন জায়গায় ধস নেমেছে। কয়েক জায়গায় ভাঙন ও ফাটলও দেখা দিয়েছে। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বার একই ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাকাপোক্ত ভাবে বাঁধ মেরামত করা হয় না। উলুবেড়িয়া শহর থেকে ৫৮ গেট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা বাঁধে প্রতি বছরই ধস নামে। সেচ দফতর অবশ্য মেরামত করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গরমে নদীতে জল কম থাকলে প্রশাসন মেরামতি করতে উদ্যোগী হয় না। এ বার বেশি বৃষ্টি হলে বাঁধের আরও ক্ষতি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই এ বার ভাগাড়, বাঁশতলা এবং মুড়িপোতা এলাকায় ধস নেমেছে। বাঁশতলার বাসিন্দা সামসুল হক বলেন, “কেন যে পাকাপোক্ত ভাবে বাঁধ মেরামত করা হয় না, বুঝতে পারি না।” মুড়িপোতার বিশ্বনাথ পোল্লে বলেন, “বাঁধে ধস নামলে সেচ দফতরের লোকজন অনেক পরে মেরামতির কাজ শুরু করেন।” মহকুমা সেচ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়ন্ত কোলে বলেন, “উলুবেড়িয়ার কাছে তিনটি জায়গায় বাঁধে ধস নেমেছে জানি। শীঘ্রই ইউক্যালিপটাসের বল্লা এবং বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হবে।”

হাসপাতাল থেকে বিদায় নিল অনামিকা
প্রায় আট মাস উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে থাকার পরে শুক্রবার অনামিকাকে নিয়ে চলে গেলেন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ড-এর সদস্যেরা। জন্ম থেকেই ওই শিশুকন্যাটি হাসপাতালেই বড় হচ্ছিল। বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে রাস্তার ধারে এক মানসিক প্রতিবন্ধী মহিলা শিশুকন্যাটিকে প্রসব করেন। কিছ ক্ষণ পরেই মা এবং শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মীরা। পরের দিনই শিশুকন্যাটিকে ফেলে তার মা নিখোঁজ হয়ে যান। এখানে কয়েকদিন থাকার পরে তাকে আনা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। তাকে রাখা শিশু ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স এবং মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের আদরেই সে মানুষ হতে থাকে। ছয় মাস বয়সে তার অন্নপ্রাশনেরও আয়োজন করেন শিশু ওয়ার্ডের নার্স, মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী এবং সুপার-সহ চিকিৎসকেরা। সুপার গৌরাঙ্গসুন্দর জানা বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে শিশুটির আইনসঙ্গত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত হাওড়া থেকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ড এসে নিয়ে যায়। তারাই ঠিক করবে শিশুকন্যাটির ভবিষ্যৎ কী হবে।” মেয়েটি হাসপাতালের কর্মী-নার্স-চিকিৎসক সকলেরই প্রিয় ছিল। সে চলে যাওয়ায় সকলেরই মন ভারাক্রান্ত বলে জানান সুপার।

ইভটিজিংয়ের ঘটনার জেরে পুলিশি টহল বাড়ল এলাকায়
ডোমজুড়ের নিবড়া এলাকায় ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন হাওড়ার পুলিশ সুপার রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নিবড়া উত্তর পঞ্চাননতলায় চার জন যুবক মহিলাদের উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করছিল। স্থানীয় কয়েকজন যুবক এর প্রতিবাদ করায় তাঁদের দু’জনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হাসান গাজি নামে এক ইভটিজার। হাসান এবং নকিব আলিকে স্থানীয় জনতা ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বাকি দু’জন বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে সুপার জানান। ইভটিজারদের হাতে আহত দুই যুবকের অন্যতম মানু রামের আঘাত গুরুতর। ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন। তাঁরা আমাকে সরাসরি সে কথা জানিয়েছেন। পুলিশকে কড়া নজরদারি চালানোর জন্য আমি বলেছি।” পুলিশ সুপার বলেন, “শুধু নিবড়া এলাকাতেই নয়, ডোমজুড় এবং সাঁকরাইলের আরও কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করে সমাজবিরোধীদের ঠেকগুলিতে নিয়মিত হানা দেওয়া হচ্ছে।”

কলেজে সংঘর্ষ
ফর্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে গোঘাটের কামারপুকুর কললেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট বাধে। গোলমালের জেরে ফর্ম দেওয়া কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। পরে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারি বাধে। জখম হয়েছেন ৭ জন। সকলকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ রামচন্দ্র পাল জানান, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। গোঘাটের তৃণমূল নেতৃত্বও ছাত্রছাত্রীদের সংযত থাকতে বলেছেন। দলের নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “এসএফআই ছেড়ে যে সব ছাত্র আমাদের সংগঠনে যোগ দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে।”

শিক্ষক গ্রেফতার
চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন। শুক্রবার, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার নন্দীবাগানে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম তপন চক্রবর্তী (৫০)। অভিযোগ, প্রতিদিন স্কুলের অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা চলে গেলে দরজা-জানলা বন্ধ করে তিনি ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করতেন। ভয়ে বাড়ির লোককে কিছু জানায়নি মেয়েটি। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা বাড়ায় এ দিন নিজের দিদিকে ঘটনাটি জানায় সে। স্থানীয় কয়েক জন মহিলাকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে ওই শিক্ষককে ধরে ফেলে নবম শ্রেণির ওই কিশোরী। এলাকাবাসীরা স্কুলে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

ধৃত মূল অভিযুক্ত
হাওড়ার বঙ্গবাসী মোড়ে বোমার আঘাতে এক বালকের মৃত্যুর ঘটনার এক বছর পরে শুক্রবার গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত। পুলিশ জানায়, ধৃত জ্ঞানপ্রকাশ গুপ্ত তৃণমূলকর্মী। ২০১০-এর ২১ অগস্ট রাতে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’টি ট্যাক্সি সংগঠনের মধ্যে গোলমালের জেরে বঙ্গবাসী মোড়ে কংগ্রেস সমর্থিত একটি ট্যাক্সি সংগঠনের অফিসে বোমা পড়ে। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে টিভি দেখছিল গণেশ সাউ (৭) নামে ওই বালক। মাথায় বোমা পড়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসাবে জ্ঞানপ্রকাশ গুপ্তর নাম সামনে আসে। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন। শুক্রবার সকালে জ্ঞানপ্রকাশের বাড়ি থেকেই তাকে ধরে পুলিশ।
Previous Story South Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.