টুকরো খবর

পটনায় পুলিশ কর্তার মৃত্যু ঘিরে রহস্য
নিজের বাড়ির মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ অফিসারের। পুলিশ সূত্রে খবর, আর ডি নিগম (৫৫) নামে ওই অফিসার সিআইডি-র ডিএসপি পদে ছিলেন। পটনার এয়ারপোর্ট থানার কৌটিল্যনগর এলাকায় ভাইয়ের সঙ্গে তিনি থাকতেন। গত কাল সকালে প্রাতঃভ্রমণ সেরে বাড়িতে এসে নিজের ঘরে ঢুকে যান নিগম। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা অবধি কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন, ওই অফিসার মেঝেতে বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সিআইডির এক অফিসার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। যদিও বিস্তারিত তদন্তের জন্য তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই অফিসারের কথায়, “ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট এলেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব।” তবে পরিবার সূত্রে এই মৃত্যুকে হত্যা বলেই দাবি করা হয়েছে। নিগমের ভাইপো রাজকুমার দাস পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করে বলেন, “ওঁর কোনও রোগ ছিল না। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”

নালন্দা জেলে বন্দি মৃত্যু
নালন্দা জেলে এক বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিষ খেয়ে আত্মহত্যাই করেছেন মুন্না সিংহ নামের ওই বন্দি। যদিও বন্দির পরিবার সূত্রে হত্যার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাল সন্ধ্যায় সালফাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মুন্না। তাকে সঙ্গে সঙ্গে জেল থেকে নালন্দা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়। মুন্না মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই বেশ কয়েক জন কয়েদি জেলের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখায়। মুন্নার মৃত্যুতে জেল সুপার ললন কুমার সিংহের ভূমিকার তদন্তের দাবি জানাতে থাকে তারা। এর মধ্যে মুন্নার পরিবার সূত্রেও পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়। যদিও রাজ্যের আইজি (কারা) আনন্দ কিশোর প্রাথমিক ভাবে সিবিআই তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি পুরো ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

গিনেস রেকর্ডের দাবিদার কৃষ্ণ কুমার
কয়েক লহমা দেখেই ২০টি জিনিসের স্মৃতি মনে রেখে গিনেস বুকে নাম তোলার দাবিদার হলেন পঞ্জাবের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র কৃষ্ণ কুমার। গত কাল শিলং প্রেস ক্লাবে এই কাণ্ডটিই ঘটিয়ে দেখালেন কৃষ্ণ কুমার। এর আগে, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৭টি জিনিসের কথা মনে রেখে রেকর্ড গড়েছিলেন সুধাংশু সিংঘল। কিন্তু মনে রাখা জিনিসের সংখ্যা ও সেগুলি মনে রেখে বলার সময়, দুইয়েই টেক্কা দিয়েছেন কৃষ্ণ কুমার। শিলং প্রেস ক্লাবে কুমারের সামনে ৩০টি জিনিস সাজানো হয়। তাঁর পরীক্ষা ছিল: ১৫ মিনিটের মধ্যে ১৭টির বেশি জিনিস স্মৃতিতে ধরে রাখা। কিন্তু কুমার মাত্র তিন মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিতরেই পরপর ২০ টি জিনিসের নাম মনে রেখে বলে দেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, গিনেসে কুমারের নাম ওঠাটা এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।

খাপলাঙের সঙ্গেই রইল ‘নাগা আর্মি’
দলের চেয়ারম্যান এস এস খাপলাং-এর প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করল এনএসসিএন (কে) সংগঠনের সেনাবাহিনী। যার পোশাকি নাম ‘নাগা আর্মি’। নাগা আর্মির মেজর জেনারেল নিমলাং কন্যাক মায়ানমার থেকে বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানেই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দলনেতা খাপলাং সম্পর্কে ডিমাপুরের খেহয় শিবির যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, সেনাবাহিনীর আনুগত্য খাপলাং-এর সঙ্গেই রয়েছে। খাপলাংকে অবিতর্কিতভাবে নাগাভূমির সবচেয়ে বড় নেতা বলে দাবি করেছেন নিমলাং।

নীতীশের কটাক্ষ
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও পঞ্জাবের ঋণ মকুব সংক্রান্ত প্রশ্নে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পটনায় আজ এক অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমার কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, “কী এমন ঘটনা ঘটল যে তিন রাজ্যের ঋণ মকুব নিয়ে আলোচনা চলছে? অথচ ২০০৬ সাল থেকে আমি বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে অন্য সব কাজের জন্য সময় থাকলেও বিহারকে দেওয়ার মতো সময় তাঁর নেই।”

মায়া-রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র
উত্তরপ্রদেশে অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্র। গত কয়েক দিনে ধর্ষণ, খুন ও জেলে ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসারের মৃত্যুর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আজ রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সব ঘটনা রুখতে মায়াবতী সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াবে মায়াবতীর।

জাত-বৈষম্যের দায়ে ধৃত ৩০০
জাত নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩০০ জন। এঁরা প্রত্যেকেই ‘উঁচু জাতের’। তামিলনাড়ুর থোন্ডামুতুর ঘটনা। অভিযোগ, ‘নিচু জাতের’ গ্রামে তাঁরা বাস ঢুকতে বাধা দেন। গ্রামটিতে ৫০০ দলিত পরিবার থাকেন। এক বাসিন্দার কথায়, “বাসে উঠলে আমাদের আসন ছেড়ে দিতে বলা হয়। ওঁরা বলেন বসার অধিকার এক মাত্র ‘উঁচু জাতের’ আছে।” তাঁর কথায়, “এ ধরনের বৈষম্য স্কুল স্তরেও আছে। এখন বাসের মধ্যেও তা শুরু হয়েছে। তাই শুধু আমাদের গ্রামের জন্য বাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে ছিলাম। ওঁরা তাতেও বাধা দিয়েছেন।” এলাকায় যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সে দিকে নজর রাখছে পুলিশ।

সাসপেন্ড হলেন বসপা বিধায়ক
ধর্ষণ ও মহিলাদের উপরে আক্রমণ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) নেত্রী মায়াবতী। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বসপার এক বিধায়কের দুই নিরাপত্তারক্ষী গ্রেফতার হন। তারই জেরে দল থেকে সাসপেন্ড হলেন বিধায়ক।
Previous Story Desh Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.