|
দিল্লি দরবার
জয়ন্ত ঘোষাল |
|
|
জন্মদিনের শুভেচ্ছা |
সম্প্রতি এক জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বেজায় খুশি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। গভীর জঙ্গলের মধ্যে দু’টি সদ্যোজাত বাচ্চার জন্মদিন সাড়ম্বরে পালন করলেন তিনি। বাঘের বাচ্চার জন্মদিন বলে কথা। তাদের জন্মদিন তো জঙ্গলেই পালন হওয়া উচিত, বললেন বন মন্ত্রকের এক কর্তা। আসলে চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্যে পান্নার জঙ্গল থেকে বাঘ একেবারেই উধাও হয়ে গিয়েছিল। জয়রামের উদ্যোগে ফের বাঘেদের প্রজননে এগিয়ে আসেন অভয়ারণ্যের কর্মীরা। অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে একটি বাঘ ও তিনটি বাঘিনী ছাড়া হয় ওই জঙ্গলে। অবশেষে সুফল পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি পাঁচটি শাবকের জন্ম দিয়েছে দু’টি বাঘিনী। যাদের মধ্যে দু’টির জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন খোদ জয়রাম। জয়রাম জানিয়েছেন, এই সাফল্যে মধ্যপ্রদেশ প্রথম দফায় ২০০ কোটি টাকা পাবে বাঘ সংরক্ষণে। বাঘের বাচ্চা বলে কি জন্মদিনে উপহার পাবে না!
|
মুগ্ধ সোমনাথ |
রাজনীতিতে কোনও পূর্ণচ্ছেদ হয় না। কালকের শত্রু আজ মিত্র হতেই পারেন। চুরাশি সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েই প্রথমবার লোকসভায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সোমনাথ ফের সাংসদই নন, হয়েছেন লোকসভায় সিপিএমের দলনেতা ও স্পিকারও। মমতার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আলাপচারিতার সম্পর্ক বিশেষ ছিল না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই সোমনাথবাবুই কিন্তু তাঁকে চিঠি লিখে শান্তিনিকেতনের একটি কলেজের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। চিঠি পেয়েই মমতা সোমনাথকে টেলিফোন করে ব্যাপারটা বুঝে নেন। তারপর দু’ঘণ্টার মধ্যে বীরভূমের জেলাশাসককে ফোন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। জেলাশাসক ফোন পেয়ে কলেজে ছুটে যান এবং সমস্যা মিটে যায়। মমতার প্রশাসনিক ক্ষিপ্রতায় সোমনাথ এতটাই মুগ্ধ যে, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে মমতার অফুরন্ত প্রশংসা করছেন। ঘনিষ্ঠদের কাছে সোমনাথবাবু বলছেন, ‘আমরা এক সময় ‘ডু ইট নাউ’ বলেছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দ্রুততার সঙ্গে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা সিপিএম দলেও কোনও দিন দেখিনি।’
|
অর্থসচিব কে? |
কে হতে চলেছেন নতুন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব? বর্তমান অর্থসচিব সুনীল মিত্র এই মাসে অবসর গ্রহণ করছেন। প্রণব মুখোপাধ্যায় চান, ওই পদে আসুন আর গোপালন। গোপালন এখন আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব। প্রধানমন্ত্রী আবার চান ওই পদে আসুক রাহুল খুল্লর। তিনি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রকে বাণিজ্যসচিব হিসাবে কর্মরত। মনমোহন যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন খুল্লর। অর্থ মন্ত্রকে এখন নিজের লোক বসাতে চান মনমোহন। ফলে অর্থসচিব কে হবেন, তা নিয়ে জোর লড়াই চলছে গোপালন ও খুল্লরের মধ্যে। এই দড়ি টানাটানিতে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে উঠে আসছে মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের বাঙালি অফিসার সুমিত বসুর নাম। এখন এই অফিসারের কপালে শিকে ছিঁড়বে কি না, তা সময়ই বলবে।
|
ছুটিতে সিপিএম |
ভোটে বিপর্যয়ের পর এক মাস অতিক্রান্ত। দিল্লিতে গরমও প্রবল। রাজধানীর ক্লান্ত সিপিএম নেতারা এখন ছুটি কাটাতে ঠান্ডার খোঁজে। পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট এবং তাঁর স্ত্রী, পলিটব্যুরোর নেত্রী বৃন্দা কারাট এখন ল্যান্সডাউন হিল স্টেশনে। সেখানে পারিবারিক একটি খামারবাড়িতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কারাট দম্পতি ছুটি উপভোগ করছেন। নেই সীতারামও। তবে ঠিক ছুটি কাটাতে নয়, তিনি প্যারিস গিয়েছেন কৃষি বিষয়ক একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে। সঙ্গে রয়েছেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুনীত চোপড়াও। সব মিলিয়ে এখন নেতাহীন দিল্লির একেজি ভবন।
|
দুই কন্যা |
এক তামিল কন্যা দশ বছর পর অলঙ্কারে সাজলেন। আর অন্য এক তামিলকন্যা সব অলঙ্কার ছেড়ে আভরণহীনা হলেন। প্রথম জন জয়ললিতা। দ্বিতীয় জন, কানিমোঝি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মনস্থির করেন, ক্ষমতায় না ফেরা পর্যন্ত গয়না পরবেন না। ভোটে জেতার পরে সমর্থকরা তাঁর বাড়ির সামনে জমায়েত হয়ে দাবি জানান যে, এ বার তাঁরা নেত্রীকে সালঙ্কারা দেখতে চান। তামিল প্রতিবাদের ঢংয়ে দু’জন আত্মহত্যারও চেষ্টাও করেন! অতএব নান্যং পন্থা। বাড়িতে সভা করে জয়ললিতা ঘোষণা করেন, তিনি গয়না পরবেন! হীরের মালায় এখন ঝলমল করছেন তিনি। আর কানিমোঝিকে গয়না খুলে তিহার জেলে ঢুকতে হয়েছে। প্রিয় নাকছাবিটি পরে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হয়নি।
|
|