|
|
|
|
সিবিআই তদন্ত চেয়ে স্বাস্থ্যকর্তার পরিবার কোর্টে |
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
মায়াবতী সরকার না মানলেও যোগেন্দ্র সিংহ সাচানের মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে তাঁর পরিবার। ওই দাবি না মানা পর্যন্ত আজ সাচানের দেহ সৎকার করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। পরে অবশ্য পুলিশের উপস্থিতিতে সারা হয় সৎকার।
বুধবার লখনউ জেলা জেলের মধ্যে ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার সাচানের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে গত কালই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। একই দাবি জানিয়ে সাচানের স্ত্রী আজ প্রথমে লখনউয়ের ডিআইজি ও পরে মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর কাছেও চিঠি লিখেছেন। সাচানের মৃত্যুর ঘটনায় আজ হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও। বিষয়টি নিয়ে তারা ডিজিপি, ডিআইজি, মুখ্যসচিব, জেলাসচিবের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার বি পি সিংহের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন সাচান। সেই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই বুধবার রাতে লখনউ জেলা জেলে দোতলার শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। গলায় জড়ানো ছিল বেল্ট। আদালতে বি পি সিংহ হত্যায় জড়িতদের নাম যাতে ফাঁস করে দিতে না পারেন সে কারণেই সাচানকে হত্যা করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী।
সিবিআই তদন্তের দাবিকে ঘিরে আজ সাচানের সৎকার নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল কিছুটা। তাঁর পরিবারের লোকজন আজ সকালে জানিয়েছিলেন, সিবিআই তদন্তের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা সাচানের দেহের সৎকার করবেন না। পাশাপাশি এ দিন তাঁরা, ওই একই দাবিতে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি আর্জিও পেশ করেন। হাইকোর্ট এ নিয়ে শুনানির দিন ১৮ জুলাই স্থির করায় সাচানের পরিবারের লোকজন বুঝতে পারেন, এত দিন দেহ রেখে দেওয়া সম্ভব নয়। সৎকারের পর সাচানের দাদা জানান, সুবিচারের জন্য তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।
উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট সচিব শশাঙ্কশেখর সিংহ কালই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেছিলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা।” কিন্তু সাচানের দাদার বক্তব্য, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, শরীরে ন’টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা খুন।” তাঁর প্রশ্ন, “পুলিশ কী করে বলছে এটা আত্মহত্যা? ভাই চিকিৎসক ছিল। সে জানত, আত্মহত্যা করতে একটা শিরা কাটাই যথেষ্ট। শরীরে তবে এতগুলি আঘাতের চিহ্ন কেন?” |
|
|
|
|
|