|
|
|
|
অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনের
দাবিতে আন্দোলন বরাক উপত্যকায় |
উত্তম সাহা • শিলচর |
বরাক উপত্যকা অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নামছে বরাক উপত্যকা বহুভাষিক সমন্বয় সমিতি।
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের উদ্যোগে ২০০৫-এর ১৮ ডিসেম্বর এই অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সমিতি গঠিত হয়। সমিতি পাঁচ বছর ধরে প্রস্তাবিত পরিষদের খসড়া রূপরেখা প্রস্তুত করছিল। কিন্তু নানাবিধ সমস্যায় যোগাযোগ ও আর্থিক ক্ষেত্রে এই উপত্যকার পরিস্থিতি জটিলতর হচ্ছে বলে এ বার আন্দোলনের পথে পা বাড়াচ্ছে এই সংগঠন। বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক গৌতম প্রসাদ দত্ত জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে অগস্টে উপত্যকার তিন জেলায় তিনটি কনভেনশন করে জনমত গঠন করা হবে। পরে শিলচরে একটি কেন্দ্রীয় অধিবেশনের মধ্য দিয়ে পরিষদের কর্মপন্থা চূড়ান্ত করা হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদের খসড়া রূপরেখা প্রকাশ করে গৌতমবাবু জানান, ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিকে নিয়ে গঠিত বরাক উপত্যকার মোট জনসংখ্যা ৩৬ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮১ জন। আয়তন ৬ হাজার ৯২২ বর্গ কিমি। ২০০৩ সালের অসম হিউম্যান রিসোর্স রিপোর্ট অনুসারে বরাকের উন্নয়নের হার রাজ্যের গড় হারের চেয়ে কম। সরকারি পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের সুফল না পাওয়াতেই এ অবস্থা। বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কর্মকর্তাদের কথায়, এ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে যাবতীয় হতাশা ও ক্ষোভ। সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষ তাই এ অবস্থার পরিবর্তনে জোটবদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের অভিমত, সরকারি ক্ষমতা দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা হলে এলাকার সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
কেমন হবে এই পরিষদ? গৌতমবাবু জানান, উত্তর-পূর্ব পরিষদের (এন ই সি) আদলে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ চাওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি প্রণয়ন ও অর্থের সংস্থান কেন্দ্রকেই করতে হবে। থাকতে হবে এন ই সি-র মতো সচিবালয়, প্ল্যানিং, সেল, যার কাজকর্ম পরিচালনা করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পর্যায়ের একজন অফিসার। সাংসদ, বিধায়ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি বিশেষজ্ঞরা বসে উপত্যকার আর্থিক বিকাশে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
রবিবার খসড়া রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন, মণিপুর সাহিত্য পরিষদ, নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মহাসভা, হিন্দি সাহিত্য পরিষদ, চড়ই জনজাতি পরিষদের প্রতিনিধিরা। এই কর্মসূচিতে সামিল ডিমাসারাও। |
|
|
|
|
|