|
|
|
|
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো |
১৪৮ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে কাজ হবে দত্তাবাদে |
অশোক সেনগুপ্ত |
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ করতে দত্তাবাদ থেকে দ্রুত সরানো দরকার ১৪৮টি পরিবারকে। রাজ্যের নগরোন্নয়ন সচিবকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল নিগম (কেএমআরসি)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পেরেছেন, ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কাজ বছরখানেক পিছিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর নির্দেশে কেএমআরসি বকেয়া নানা কাজ দ্রুত শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে। রেল মন্ত্রকের উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণ থাকলে প্রকল্পের কাজে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন কেএমআরসি-র ইঞ্জিনিয়ারেরা।
এই প্রকল্পে ১৩টি স্তম্ভ তৈরি হবে দত্তাবাদে। বহুকাল ধরে ওই এলাকায় দখলদারদের বাস। নগরোন্নয়ন দফতরের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “ওঁদের কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। সাময়িক ভাবে কাছাকাছি সরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে শীঘ্রই স্থানীয় আবাসিক, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এবং কেএমআরসি-র প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে।” হাওড়ার দিকে শ্রীমানী মার্কেটের দোকান এ ভাবেই সরিয়ে দিয়ে হাওড়া ময়দান অঞ্চলে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। কেএমআরসি সূত্রের খবর, জিটি রোডের দিকে শরৎ সদনের সামনের অংশও সাময়িক ভাবে নেওয়া হচ্ছে প্রকল্পের কাজের জন্য। ও দিক থেকে স্টেশন পেরিয়ে মেট্রোর সুড়ঙ্গ নেমে যাবে গঙ্গার ৩২ মিটার নীচে। জলতলে ৯০০ মিটারের পরে সেটি ফের উঠবে উপরে।
২০০৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি সল্টলেকে ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে কাজ শেষ হয়ে যাবে। কথা ছিল, ২০১৩-র নভেম্বরে চালু হয়ে যাবে প্রথম পর্যায়ের পরিষেবা। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শুরু করে মোট ১২টি স্টেশনের মধ্যে ছ’টি স্টেশন থাকছে স্তম্ভের উপরে। পরের ৬টি থাকবে ভূগর্ভে। প্রথম পর্যায়ে ট্রেন চলার কথা ছিল শিয়ালদহ পর্যন্ত। গোড়ায় ধরা হয়েছিল প্রকল্পব্যয় হবে ৪৮৭৪.৫৮ কোটি টাকা। কাজে দেরি হওয়ায় এই খরচের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
প্রকল্পের লগ্নির একটা অংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানি লগ্নিসংস্থা ‘জিকা’। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কাজে দেরি হলে তার আর্থিক দায় বর্তাবে রাজ্যের উপরে। কাজে দেরির জন্য এ ক্ষেত্রে এই ব্যয় কতটা বাড়বে? কেএমআরসি-র এক পদস্থ অফিসার বলেন, “নানা খাতে, নানা সময় এই খরচ হয় বা হচ্ছে। বাড়তি খরচের বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
কাজে দেরির কারণ কী?
কেএমআরসি সূত্রের খবর, অন্যতম প্রধান কারণ ছিল রেল মন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতানৈক্য। এখন তা মিটেছে। রেলের নানা ভূগর্ভের সংযোগ সরানো ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য মন্ত্রক প্রায় ২৯ কোটি টাকা চেয়েছে। এর মধ্যে হাওড়ার জন্য ৯ কোটি টাকা এবং শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে কাজের জন্য ১ কোটি টাকা এককালীন দেওয়া হয়েছে রেলকে। বাকি টাকার দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখছে কেএমআরসি। |
|
|
|
|
|