|
|
|
|
বৈঠকে সিদ্ধান্ত মমতার |
নিউ টাউনে অধিগ্রহণে দাঁড়ি, হিডকোয় লোপ চেয়ারম্যানের কোটাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নিউ টাউনে উপনগরীর জন্য আর জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। পাশাপাশি হিডকোয় চেয়ারম্যানের ‘কোটা’-ও সরকার তুলে দিল বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার গোটা রাজ্যের জন্য যে জমি-নীতি ঘোষণা করেছে, তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, বেসরকারি শিল্পের জন্য রাজ্য আর জমি অধিগ্রহণ করবে না। নিউ টাউনের ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী একই সিদ্ধান্ত নিলেন। উপরন্তু হিডকো-র জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কে ক্ষমতায় আসার আগে নানা অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার ৩৫ দিনের মাথায় এ দিন হিডকো নিয়ে প্রথম বৈঠকেই সরকারের জমি অধিগ্রহণের কাজে আপত্তির কথা জানিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, এ বার থেকে উপনগরীতে কোনও প্রকল্প করতে হলে জমি কিনেই তা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “বামফ্রন্ট ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে ১০১৩ একর জমি অধিগ্রহণের নোটিস দিয়েছিল। এ ছাড়া আরও ৫৭৪ একর অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই ১৫৮৭ একর জমি আর অধিগ্রহণ করবে না হিডকো। ওই জমি কৃষকের হাতেই থাকবে।” বাম-জমানায় মোট ৭০৮৭ একর নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে মমতা বলেন, “এর মাত্র আড়াইশো একর জমি কেনা হয়েছে। বাকিটা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আরও ১৫৮৭ একর অধিগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা করা হবে না।”
নিউ টাউনের ক্ষেত্রে কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন? মমতার ব্যাখ্যা, “ওখানে চাষিদের অবস্থা অনেক খারাপ। খেতে না-পাওয়ার মতো অবস্থা। চাষবাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জীবনযাত্রা এক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে না।” এই সিদ্ধান্তে তিনি নিজে তো বটেই, রাজারহাটের চাষিরাও ‘খুশি’ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাম আমলে প্লট ও ফ্ল্যাট বিলির ক্ষেত্রে হিডকো-র চেয়ারম্যানের বিশেষ ‘কোটা’ ছিল। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগও উঠেছে। এ
বার চেয়ারম্যানের সেই ‘কোটা’ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান,
রাজ্যের আবাসনমন্ত্রী তথা হিডকো-র নতুন চেয়ারম্যান শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। মমতার কথায়, “রাজ্যের কোনও মন্ত্রীরই কোনও কোটা থাকবে না। সিপিএমের ‘কোটা-নীতি’ শেষ হয়ে গেল।” হিডকো-র জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজারহাটের জমি নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারি হয়েছে। অনেক অভিযোগও রয়েছে। আগের সরকার যাওয়ার আগে ১০১টি জমির প্লট বিলি করেছিল। ৩৮টি প্লট বিলি হয়েছিল মাত্র এক দিনে!”
মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিনের বৈঠকে আবাসনমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন হিডকো-র ভাইস চেয়ারম্যান তথা শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, হিডকো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌরভ দাস প্রমুখ। |
|
|
|
|
|