টুকরো খবর

বিধায়কের নালিশ
জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ঘর ব্যবহার করেই কোচবিহারে ভুয়ো রেশন কার্ড কারবারীদের একটি চক্র রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার আচমকা ওই দফতর পরিদর্শনের পরে কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই অভিযোগ করেছেন। এদিন দুপুরে ওই তৃণমূল বিধায়ক জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে যান। দফতরের কর্মীদের বসার ঘর পরপর ঘুরে দেখেন তিনি। এমনকী, একটি ঘরে একজনও কর্মীকে দেখতে না-পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। আবার হাজির খাতায় সই করলেও পরিদর্শকদের কয়েকজন অফিসে দেখতে পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শেষে দফতরের নিচতলার একটি ঘরে তিনি উঁকি দিতেই কয়েকজন যুবক দৌড়ে বাইরে চলে যান। তখন দেখা যায় ঘরে দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বসে রয়েছেন। টেবিলের উপরে পড়ে রয়েছে বেশ কিছু রেশন কার্ড। নাটাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “দফতরের মধ্যেই ভুয়ো রেশন কার্ডের কারবার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রীকে জানাব।” বিধায়কের অভিযোগ, প্রকৃত আবেদনকারীরা রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। অথচ কর্মীদের একাংশের যোগসাজশে দফতরের ভিতরেই ভুয়ো রেশন কার্ড চক্র জাঁকিয়ে বসেছে। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরবরাহের জন্য বেশ কিছু চালের নমুনা দেখিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “জনসংখ্যার তুলনায় রেশন কার্ডের সংখ্যা বেশি। আমাদের হিসাবে ৫ লক্ষ ভুয়ো কার্ড রয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের চালের মানও যে ভাল নয় তাও জানিয়ে এসেছি।” জেলা খাদ্য নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, “কর্মী সংখ্যার স্বল্পতার জন্য দফতরের কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে দিয়ে রেশন কার্ডে লেখালেখির কাজ করানো হয়। ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

পালাবদলে হাতছাড়া দুই পঞ্চায়েত
পালা বদলে দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল সিপিএমের। একটি গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। অন্যটি কুমারগ্রামের দিওড় গ্রাম পঞ্চায়েত। অনাস্থায় গঙ্গারামপুরের সিপিএমের প্রধান এবং কুমারগঞ্জে উপপ্রধানের সমর্থন পেয়ে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। দলীয় অন্তর্কলহে পঞ্চায়েত দুটি সিপিএমের হাতছাড়া হয়। বুধবার কুমারগঞ্জের দিওড় পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ডাকা ভোটাভুটিতে পরাজয় নিশ্চিত ভেবে সিপিএমের সদস্যরা বৈঠকে হাজির হলেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। দিওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১১টি। ৭টি আসন দখল করে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। তৃণমূলের দখলে ছিল ৪টি আসন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর দলীয় নেতৃত্বের কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে উপপ্রধান আমিনুর ইসলাম ও আরেক সদস্য পারুল বর্মন ২ জনেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ছয় সদস্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল। সিপিএম কুমারগঞ্জ জোনাল সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “ওই দুই সদস্যের কাজকর্ম নিয়ে অনেক আগেই অভিযোগ উঠেছিল। দলভাঙার খেলায় তৃণমূল মেতে ওঠায় তাদের কাছে ওরা আশ্রয় পেয়েছে।” গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান সরলা সরকার, দলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বোর্ড পরিচালনায় কর্তৃত্ব কায়েম ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পর পর পঞ্চায়েতে টানা গরহাজির ছিলেন উপপ্রধান। অচলাবস্থা তৈরি হলে অনাস্থা আনে প্রস্তাব আনে তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতে ১১টির মধ্যে সিপিএম ৬ এবং তৃণমূলের ৫ আসন ছিল। এ দিন ভোটাভুটিতে ৬ জনের সমর্থনে বোর্ড দখল করে তৃণমূল।

‘হেরিটেজ টাউন’ ঘোষণা করার দাবি
কোচবিহার শহরকে ‘হেরিটেজ টাউন’ হিসাবে ঘোষণার সুপারিশ করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদারের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ভবন ও নিদর্শন ঘুরে দেখেন। শহরের মদনমোহন বাড়ি, সাবিত্রী ভবন, জলস্তম্ভ ঘুরে দেখে কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “শহর জুড়ে নানা ঐতিহ্যের নিদর্শন রয়েছে। সে সব দেখেই আমরা ওই শহরটিকে হেরিটেজ টাউন হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে সুপারিশ পাঠাচ্ছি।” হেরিটেজ কমিশনের তরফে অবশ্য ঐতিহ্যবাহী শহরে বেআইনি ভাবে নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কমিটির অভিযোগ, মদনমোহন বাড়ির ১৫ মিটারের মধ্যেই বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি চলছে। এবিএনশীল কলেজের পুরনো ভবনের কাছেও মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ১০০ মিটারের ব্যবধান রাখতে হয়। কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল চেয়ারম্যান বলেন, “জেলায় প্রাথমিক ভাবে ১০০টি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ছড়িয়ে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে ওই ব্যপারে সুপারিশ পাঠানো হবে।” এদিনের ওই প্রতিনিধি দলে আনন্দগোপাল ঘোষ, সুষমা রোহতগি, কোচবিহারের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা ছিলেন। এবিএনশীলের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিলয় রায় বলেন, “কলেজ ভবন হেরিটেজ ঘোষণার কোনও নির্দেশ পাইনি। সেটা পেলে নিয়ম মেনেই কাজ হবে।”

দুর্ঘটনায় মৃত তিন
তেলবাহী ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ম্যাক্সি ট্যাক্সির সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কুরমানপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। ওই ঘটনায় আরও ১৮ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি ৪ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত ও জখমেরা সকলেই ওই ম্যাক্সি ট্যাক্সির যাত্রী ছিলেন। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম গৌতম মিত্র (৪৮), সফিকুল ইসলাম (১৫) এবং বুলু ইসলাম (৩২)। গৌতমবাবু ওই ম্যাক্সিট্যাক্সির চালক ছিলেন। তাঁর বাড়ি ইটাহারের পীরতলায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। নবম শ্রেণির ছাত্র সফিকুলের বাড়ি নমনীয় গ্রামে। বুলু মহম্মদের বাড়ি ইটাহারের উত্তরপাড়া এলাকায়। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল ভৌমিক বলেন, “ম্যাক্সিট্যাক্সিটি ইটাহারের একটি নার্সারি স্কুলের শিশুদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। স্কুলের শিশুদের নামিয়ে চালক যাত্রী তুলে ইটাহার ফিরছিলেন। সেই সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। চালকেরা যাতে আইন মেনে গাড়ি চালায় সেদিকে নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক ত্রিদিব সরকার বলেন, “যাত্রী না-তোলার জন্য চালককে গাড়িতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মৃতের পরিবারকে স্কুলের তরফে যথাসম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

২টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
দুটি পৃথক ঘটনায় মালদহে বিষক্রিয়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষিকা এবং এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরুই ও দৌলতনগরে। দৌলতনগরে পণের টাকা না-পেয়ে ওই বধূকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগে পুলিশ মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম শেফালি মহালদার (২১) দৌলতনগরের বাসিন্দা শেফালি দেবীর দেহ শোওয়ার ঘর থেকে এদিন সকালে উদ্ধার হয়। সাড়ে তিন বছর আগে প্রকাশ মহালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি এক বছরের মেয়েও রয়েছে। অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং সতী দাস (৫০)-কে। তিনি বিহারের কাটিহারে র অনুপনগর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। এদিন সকালে তিনি বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২
দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হল ইসলামপুরে। বুধবার রাতে ইসলামপুরে পুরাতনপল্লি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাক চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শিবশঙ্কর শর্মা (১৯)। দুর্ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা করার পরে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিনই বিকেলে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে ৩ জন জখম হন। রাতে গুরুতর জখম এক ব্যক্তিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইস্তাক আহমেদ।

ডুবে মৃত্যু যুবকের
নদীতে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থানার পশ্চিম শ্যামপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দিলীপ মাহাতো (২৮)। ওইএলাকায় তাঁর বাড়ি। দুপুরে কুলিক নদীতে স্নান করতে নেমে তিনি তলিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ নদী থেকে দেহটি উদ্ধারের পরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রার্থিপদ প্রত্যাহার
জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের অনুরোধে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন রায়গঞ্জের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সজলকান্তি ধর। বৃহস্পতিবার জেলা কংগ্রেস অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এ কথা ঘোষণা করেন। সজলবাবু রায়গঞ্জ পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান রণজ দাসের বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সজলবাবু বলেন, “ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চাপে মনোনয়নপত্র জমা দিই। জেলা কংগ্রেস সভাপতির অনুরোধে সরে দাঁড়ালাম।” রণজবাবু বলেন, “জোট স্বার্থে সজলবাবু নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে তাঁর পরামর্শ নিয়েই ওয়ার্ডে কাজ করব।”

বিধায়কের নালিশ
জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ঘর ব্যবহার করেই কোচবিহারে ভুয়ো রেশন কার্ড কারবারিদের চক্র রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার আচমকা ওই দফতর পরিদর্শনের পরে কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই অভিযোগ করেছেন। এ দিন দুপুরে ওই তৃণমূল বিধায়ক জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে যান। দফতরের কর্মীদের বসার ঘর ঘুরে দেখেন তিনি। এমনকী, একটি ঘরে এক জনও কর্মীকে দেখতে না-পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। আবার হাজির খাতায় সই করলেও পরিদর্শকদের কয়েক জনকে অফিসে দেখতে পাওয়া যায়নি। বিধায়ক বলেন, “দফতরেই ভুয়ো রেশন কার্ডের কারবার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রীকে জানাব।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.