|
|
|
|
স্বাস্থ্যপরিষেবার হালে উদ্বিগ্ন বিধায়ক, মন্ত্রীও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে উপস্থিত থেকে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে নির্দেশ দিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য তথা মাটিগাড়ার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেন্ট্রাল প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। তাতে রক্ত পরীক্ষা থেকে আলট্রাসোনোগ্রাফি, এক্সরে সমস্ত পরীক্ষাই যে কোনও সময় করা সম্ভব হবে। এ দিন প্রতিমন্ত্রী সুনীল তিরকি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সুনীলবাবু কেবল উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গের একমাত্র টার্শিয়ারি সেন্টার এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অজস্র সমস্যার কথা জানতে পেরে এ দিন হতবাক হন শঙ্করবাবু, সুনীলবাবু। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের সমস্যার অন্ত নেই। অথচ এতদিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের এই একমাত্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না করে কেন তা এ ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী তাঁরা। শঙ্করবাবু বলেন, “সেন্টাল প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার চেষ্টা চলছে। ওই কাজের জন্য জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসারের সংখ্যা কম হওয়ায় সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি জানান, নতুন সরকার সদ্য ক্ষমতায় এসেছে। সমস্ত বিষয় পরিষ্কার বুঝে নিয়ে তারা স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে ব্যবস্থা নেবেন।” সুনীলবাবু জানান, প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি এ দিনের বৈঠকে তিনি শুনলেন। সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটিকে সেন্টার ফর এক্সিল্যান্স হিসাবে গড়ে তুলতে একাধিক পরিকল্পনার প্রস্তাব সমন্বিত দাবিপত্র এ দিনের বৈঠকে পেশ করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে রয়েছে আলাদা ডায়ালাইসিস ইউনিট থেকে বংশগত রোগের চিকিৎসায় অত্যাধুনিক জেনেটিক ল্যাবরেটরি, ক্যান্সারের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ‘ডে কেয়ার ইউনিট’, কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন কেন্দ্র, অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার চালু করা। ডায়াবেটিক রেটিনা ক্লিনিক, ২৪ ঘন্টা জরুরি বিভাগ খোলা রাখার পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দে নিউরোলজি, কার্ডিওলজি এবং নেফ্রলজির জন্য আলাদা ভবন তৈরি করা হলেও তিনটি ক্ষেত্রে অন্তর্বিভাগ চালু করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী নেই। সেন্ট্রাল প্যাথলজি ইউনিটটি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৮ জন চিকিৎসক দরকার। বর্তমানে রয়েছে ৪ জন। টেকনিসিয়ান এবং স্বাস্থ্য কর্মী সংখ্যা বর্তমানে ৪ জন। তা আরও বাড়াতে হবে। রেডিওলজি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে ১৪ জন রেডিওলজিস্ট দরকার। রয়েছে ৫ জন। অনুমোদিত পদ রয়েছে ৯টি। স্বাস্থ্য কর্মীও আরও অন্তত ৫ জন দরকার। এই পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। |
|
|
|
|
|