রোগীর চাপ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
চাপ কমাতে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি চালু হচ্ছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। রাজ্যের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা জ্যোতির্ময় চাকী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা হল, অনেক সময় এমন অনেকে জোর করে হাসপাতালে ভর্তি হন যাদের অন্তর্বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন ছিল না। যে রোগ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে এসেছেন তার চিকিৎসা বাড়িতে সম্ভব। তবু নানা পারিপার্শ্বিক কারণে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। যার ফলে ভর্তি করানো সত্যিই প্রয়োজন এমন রোগী হাসপাতালের শয্যা পান না। ফিরে যেতে হয়। রোগীর চাপ থাকলে ওয়ার্ডে পরিষেবা পেতেও সমস্যা হয় বলে অভিযোগ। সে কারণেই রোগী ভর্তিতে কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। |
|
ছবি: সন্দীপ পাল। |
কেমন হবে নয়া ব্যবস্থা?
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কিছু শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। খুব গুরুতর রোগী না হলে সাধারণ ক্ষেত্রে যারা ভর্তির জন্য আসবেন তাদের প্রথমে জরুরি বিভাগের শয্যা দেওয়া হবে। তিন-চার ঘণ্টা তাঁর চিকিৎসা চলবে জরুরি বিভাগে। তারপরে চিকিৎসকের যদি মনে হয় তাহলেও তাঁকে ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু করতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে ঢেলে সাজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগের মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়াল সবই নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে। জরুরি বিভাগ পরিষ্কার করে কয়েকটি শয্যা পাতার ব্যবস্থাও হচ্ছে। এ দিন হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, “চাপ কমাতেই এই ব্যবস্থা। এর ফলে এক দিকে যেমন প্রকৃত রোগীরা ভাল করে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন, অন্য দিকে যাঁরা নানা অছিলায় হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁদের শয্যা আকড়ে থাকার প্রশ্ন নেই।” এ দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন যুগ্ম অধিকর্তা। হাসপাতালের বিভাগগুলিকে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি। হাসপাতালের দেওয়ালে পানের পিক বা থুতু ফেলা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি নতুন প্রকল্প হিসেবে হাসপাতালে প্রসব করলে এখন থেকে ওষুধ ও চিকিৎসার কোনও খরচ লাগবে না বলে যুগ্ম অধিকর্তা জানান। ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই এই সুযোগ মিলবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এক দেড় মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। |
|