|
|
|
|
মেলেনি শংসাপত্রও |
প্রশিক্ষণে অমিল ভাতা, ক্ষুব্ধ তফসিলি যুবকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
কথা ছিল প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণের সময়ে ভাতা হিসেবে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। অথচ প্রশিক্ষণের সময়ে দেওয়া হয়নি ভাতার টাকা। এখনও পাওয়া যায়নি শংসাপত্র বা চাকরি। এমনকী ঠিক মতো প্রশিক্ষণও মেলেনি। এমনই অভিযোগ তফসিলি জাতি ও আদিবাসী উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১১১ জন তফসিলি যুবকের।
গত বছরের শেষ দিকে পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি ও আদিবাসী উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের তরফে একটি বিজ্ঞাপনে দিয়ে জানানো হয়, নিরাপত্তাকর্মী ও স্টিল ওয়ার্কারের জন্য তফসিলি সম্প্রদায়ের ছেলেদের বিশেষ কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ এবং ১৮-৩৫ বছর বয়সের ছেলেদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। রাজ্যে মোট পাঁচটি জায়গায় দু’টি পর্যায়ে মোট এক হাজার জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারিতে আগ্রহী যুবকেরা ফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করেন।
বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, নদিয়া ও বর্ধমান জেলার ১১১ জন তফসিলি জাতি ও উপজাতির যুবক দুর্গাপুর কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণের জন্য সুযোগ পান। ১০ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি ও আদিবাসী উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের উদ্যোগে বিশেষ কর্মমুখী প্রশিক্ষণের একটি অনুষ্ঠান হয় পুরসভায়। সেখানে তৎকালীন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী যোগেশ বর্মণ জানিয়েছিলেন, “বামফ্রন্ট সরকার চায় পিছিয়ে পড়া আদিবাসী যুবকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থিক ভাবে সক্ষম করতে।” দুর্গাপুরে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়া যুবকদের অভিযোগ, এর পরেই শুরু হয় হয়রানি। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
১৫ ফেব্রুয়ারি ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে এসেও ফিরে যেতে হয় তাঁদের। চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। দু’মাসের এই প্রশিক্ষণের সময়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভাতা দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি। এমনকী শংসাপত্রও দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার তরফে এ ব্যাপারে টালবাহানা করা হচ্ছে। ওই যুবকদের আরও অভিযোগ, ঠিক মতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ভাতা নেওয়ার জন্য দুর্গাপুরে আসেন কয়েক জন যুবক। সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকার পরে বিকেলে কয়েক জনকে এক মাসের ভাতার টাকা দেওয়া হয়। ভাতা নিতে আসা নিশীথ পাল, উত্তম রুইদাসদের অভিযোগ, “কথা ছিল প্রশিক্ষণের পরে শংসাপত্র ও বিভিন্ন ইস্পাত কারখানায় কাজ দেওয়া হবে। সে সব তো মেলেনি, নিয়মমাফিক ক্লাসও হয়নি।” পুরুলিয়া ও বীরভূম থেকে আসা কাজল লায়েক ও মিলন সাহা বলেন, “পকেটের পয়সা খরচ করে বারবার আসছি। কিন্তু কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।”
এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর কল্যাণ বসু জানান, “সরকারের দিক থেকে টাকা আসতে দেরি হয়েছে। তাই ভাতা দেওয়া যায়নি। আগামী ৪ তারিখ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শুরু হবে। ১০ তারিখ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে।” অন্য সব অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলতে চাননি। |
|
|
|
|
|