কাজের দাবি
জল সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে বান্দোয়ানের বাসিন্দারা
বৃষ্টির আগে নদীতে জল না থাকায় তিন মাস জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীতে জল আসায় সরবরাহ ব্যবস্থা ফের চালু হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে দু’দিন হল জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বান্দোয়ান থানার সাতটি মৌজায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পাম্প হাউসে এলাকার যুবকদের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। এই টানা পোড়েনে বান্দোয়ান থানার সাতটি মৌজায় অন্তত ১৫ হাজার বাসিন্দা পানীয় জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি রাজ্য স্তরেও জানিয়েছেন।
বান্দোয়ান থানার সুপুডি গ্রামে ২০০৫-এর ২১ নভেম্বর তৎকালীন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব জল সরবরাহ প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছিলেন। স্থানীয় টটকো নদীর উপরে ভালু জলাধার থেকে জল সরবরাহ করা হত। ট্যাঙ্কে জলধারণ ক্ষমতা ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৪০০ লিটার।
বন্ধ পাম্পঘর। ছবি: সমীর দত্ত।
বৃহস্পতিবার সুপুডি গ্রামে গিয়ে দেখে যায়, পাম্প হাউসে রক্ষী-সহ ৩ জন কর্মী রয়েছেন। কর্মী কংসারী কুমার, প্রদীপ সাউ বলেন, “কেন জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে আমরা জানি না।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দোয়ান প্ল্যান্টে কর্মীর সংখ্যা ২৮। সকলেই অস্থায়ী। সরবরাহ বন্ধ কেন জানতে এসে গত সপ্তাহে বাসিন্দাদের হাতে ঘেরাও হন দফতরের আধিকারিকেরা। সুপুডি গ্রামের বাসিন্দা তথা বান্দোয়ান ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ভক্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, “গ্রীষ্ণে জলের চাহিদা বেশি থাকে। তখন জল মেলে না। এখন জল নিয়ে কী করব। বরং ফাটা পাইপের জল রাস্তা খারাপ করছে। বাসিন্দাদের বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে। ওই কেন্দ্রে কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে অনেকে যেমন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছেন, তেমনি সুপুডি গ্রামের আরও ১০ জনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছি। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারাই জল সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন।”
এ দিন জল সরবরাহ বন্ধের কারণ জানতে চাইলে অবশ্য বাসিন্দারা মুখ খোলেলনি। বান্দোয়ানের বিডিও দেবাশিস চৌধুরী বসেছিলেন বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রতন বেসরার কাছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “বিষয়টি এখন আইন শৃঙ্খলারক্ষার প্রশ্নে দাঁড়িয়েছে। কয়েক জনের বাধায় বিশাল অংশ জল পাবে না, তা মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কতা হয়েছে। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিতে বলেছি।”
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের রতন বেসরা বলেন, ‘‘আগে নদীতে জল ছিল না। এখন জল থাকলেও সরবরাহে যারা বাধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় আলোচনা করছি।” ভালু জলাধারে যতক্ষণ জল থাকবে বাজ পদ্ধতিতে জল শোধন করে সরবরাহ করা হচ্ছিল। ওই জল বোরিং পদ্ধতিতে শোধন করা হয় না। কর্মীরা জানিয়েছেন, জেলার মুরগুমা, বলরামপুর, বান্দোয়ানে জল পরীক্ষাগার চালু রয়েছে। দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) অনাথবন্ধু বাউরি বলেন, “বান্দোয়ানের সুপুডিতে জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দার বাধায় এক সপ্তাহ হল জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমাদের আধিকারিক খোঁজ নিতে গেলে তাঁকে ঘেরাও করে রেখে দেওয়া হয়। শুনেছি স্থানীয় কয়েক জন যুবককে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। বিষয়টি রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই ভাবে সরবরাহে বাধা পাওয়ায় অসহায় বোধ করছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।” ওই ব্লকের মধুপুর গ্রামের জগদীশ মাহাতো, বান্দোয়ান বাজারের বাসিন্দা ধরনী প্রামাণিক, স্বপন দত্তরা বলেন, “নলবাহিত জল না মেলায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। নলকূপ থেকে, কিংবা দোকান থেকে জল কিনে আনতে হচ্ছে।
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.