|
|
|
|
মেছোভেড়ির সংঘর্ষে বোমায় জখম ২ শিশু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাড়োয়া |
বছর দুয়েকের এক ছেলের গায়ে লাগল বোমার টুকরো। বোমা ফাটল বছর এগারোর এক স্কুলছাত্রীর সামনে। বোমা-গুলিতে জখম আরও দু’জন। বৃহস্পতিবার মেছোভেড়ি নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের সময় ওই ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার কালিকাপুর গ্রামে। আহত চার জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এ দিন তৃণমূলের আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী সমবায়ের ভিত্তিতে চলা ওই মেছোভেড়ির দখল নিতে আসে। তাঁরা বাধা দিলে গণ্ডগোল বাধে। তৃণমূলের নেতাদের দাবি, পাওনা টাকা চাইতে গেলে সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের আক্রমণ করে। দু’পক্ষই সংঘর্ষে তাঁদের দলের লোকজন জখম হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় র্যাফ নামানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিকাপুর গ্রামে কাঠখালি মেছোভেড়ি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। এ দিন দুপুর নাগাদ ফের তা নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। ক্রমে বচসা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষই বোমা-গুলি ছুড়তে শুরু করে। সেই সময় বাড়ির বারান্দায় খেলা করছিল বছর দুয়েকের হোসেন আলি। আচমকা বোমার টুকরো এসে তার গায়ে লাগে। বছর এগারোর স্কুলছাত্রী জাখাইয়া খাতুন সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তার সামনে একটি বোমা ফাটলে গুরুতর জখম হয় সে। এ ছাড়া এক জন মহিলা এবং আয়ুব আলি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির গায়েও গুলি লাগে।
তৃণমূলের অভিযোগ, পাওনা টাকা না দিয়ে গায়ের জোরে ওই মেছোভেড়ি চালাচ্ছিল সিপিএমের লোকজন। এ দিন দুপুরে তাদের দলের আনসার মোল্লা, আয়ুব আলি মণ্ডল, আলাউদ্দিন মোল্লা-সহ কয়েকজন ভেড়িতে গিয়ে টাকা শোধ না করা পর্যন্ত মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তাঁরা যখন ফিরে আসছিলেন, সেই সময়েই সিপিএমের জামাই সিরাজ, আফের মোল্লা, জাফর মোল্লা, ইজরাইল মোল্লা, সিরাজুল মোল্লারা তাঁদের উপরে হামলা করেন বলে অভিযোগ। সিপিএমের তরফে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এলাকার কিছু মানুষ সমবায় করে ভেড়িটি চালাচ্ছিলেন। তৃণমূল তা দখল করার চেষ্টা করে। বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালে তারা হামলা চালায়। |
|
|
|
|
|