|
|
|
|
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে আস্থা প্রমাণের সভায় ‘নাটক’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিপিএমের সোমনাথ সিংহের আস্থা প্রমাণের জন্য ডাকা সাধারণ সভায় বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত গরহাজির থাকলেন মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের স্থায়ী সমিতির ৫২ জন বামফ্রন্ট সদস্য। ওই ৫২ জনের মধ্যে জেলাপরিষদ সদস্য ৩১ জন, পঞ্চায়েত সমিতির ১৩ জন সভাপতি, ৭ জন বিধায়ক ও ১ জন সাংসদ। এ দিকে ওই অনাস্থা সভাকে ঘিরে জেলাপরিষদ কার্যালয়ে চলে একপ্রস্থ নাটক।
এ দিন অনাস্থা সভায় অনুপস্থিত থাকার জন্য সভাধিপতি সিপিএমের পূর্ণিমা দাস ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিপিএমের সোমনাথ সিংহের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় কংগ্রেস। সভাধিপতি সভা ডেকে সভায় হাজির না থাকার জন্য মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সুজয় সরকারের ঘরে গিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন রেজিনগরের বিধায়ক তথা জেলাপরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা হুমায়ুন কবির, নওদার বিধায়ক আবু তাহের-সহ অন্যান্য জেলাপরিষদ সদস্যরা।
সেই সঙ্গে সভায় উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর করার জন্য যে রেজিস্ট্রার খাতা পাঠানো হয়, তা নিয়েও কংগ্রেসের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “স্থায়ী সমিতির সভায় ও সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের একই খাতায় সই করানোর রেওয়াজ রয়েছে বামফ্রন্ট পরিচালিত জেলাপরিষদে। ওই খাতায় অবশ্য সভার রেজুলিউশন লেখা হয় না। সভার রেজুলিউশন অন্য ফাইলে রাখা থাকে, যা পঞ্চায়েত নিয়ম বিরুদ্ধ। বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই খাতায় আমরা সই করতে রাজি হয়নি।” পরে অবশ্য অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ)-এর নির্দেশে সভায় উপস্থিত সদস্যদের সই করার জন্য নতুন খাতা দেওয়া হয়।
এ দিনের সভা নিয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “সভা ডেকে যাঁরা সেই সভায় হাজির থাকেন না, তাঁদের মুখে অন্তত গণতন্ত্রের কথা মানায় না। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের আখড়া হয়েছে এই জেলাপরিষদ। তাই সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সিপিএম এদিনের সভায় হাজির হয়নি। পঞ্চায়েত নিয়ম মেনেই আমরা অনাস্থার চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির ভিত্তিতে সভা ডেকে সেই সভায় হাজির না থেকে গণতন্ত্র বিরোধী দৃষ্টান্ত নিদর্শন স্থাপন করল সিপিএম।” এদিন অবশ্য জেলাপরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতি হিসেবে এদিনের সভা পরিচালনা করেন জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বানি ইস্রাইল। পরে সভায় উপস্থিত কংগ্রেসের ৫৫ জন সদস্যের স্বাক্ষর করা ‘রিজলিউশন’-এর চিঠি সভাধিপতির অনুপস্থিতিতে জেলাপরিষদের রিসিভিং কাউন্টারে, জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ)-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “অনাস্থা সভার নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, তা রেজুলিউশনের কপি না দেখে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না। ওই কপি এখনও হাতে পাইনি।” |
|
|
|
|
|