জল নামছে ঘাটালে, বাঁধ সংস্কারে আশ্বাস সেচমন্ত্রীর
দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় নদীবাঁধগুলি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ ছাড়াও নদীতে পলি জমে কমে গিয়েছে নদীর গভীরতা। ফলে জল বাড়লেই চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক নদীবাঁধ। তলিয়ে যাচ্ছে বাঁধ লাগোয়া শতাধিক গ্রাম। নদী উপচে বন্যার সঙ্গেই বাঁধ ভেঙেও এ বার প্লাবিত হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
বন্যার জল নেমে গেলেই এ বার বাঁধ সংস্কার, নতুন করে বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ থেকে অবৈধ দখলদারদের সরানোর উদ্যোগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর বক্তব্য, “বন্যার জল নামলেই দুই মেদিনীপুর তো বটেই রাজ্যের অন্যত্রও নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
গত রবিবার দাসপুরের নিজামপুরে কংসাবতী বাঁধের যে অংশটি ভেঙেছিল, সেই অংশে ইতিমধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে দাসপুরের তেমোহানিতে স্টিলব্রিজের কাছে জমে থাকা কচুরি পানা সরানোর কাজও। বিভিন্ন জায়গা থেকে পানা ভেসে এসে ওই ব্রিজে আটকে যাওয়ায় ব্রিজ ও সংলগ্ন বাঁধেরও খুবই খারাপ অবস্থা। সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিজামপুরে বাঁধ মেরামতির সঙ্গেই পানা সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটাল মহকুমা-সহ দুই মেদিনীপুরের সংলগ্ন ১২টি ব্লকে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থার সদ্য তৈরি ডিপিআর (ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট) যাতে দ্রুত কেন্দ্রের অনুমোদন পায়, সে জন্যও ইতিমধ্যেই রাজ্য সেচ দফতর তদ্বির শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মানসবাবু। তিনি বলেন, “দফতরের তরফে তো বটেই, ব্যক্তিগত ভাবেও অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছি।”
এ দিকে, বৃহস্পতিবার ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জমা জল কমতে শুরু করেছে। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তায় কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু করেছে। তবে ত্রাণ বিলি নিয়ে ঘাটাল ও দাসপুরদুই দুর্গত ব্লকেই দলবাজির পুরনো অভিযোগ উঠেছে। আগে অভিযোগের অভিমুখ থাকত তদানীন্তন শাসকদল সিপিএমের বিরুদ্ধে। আর এখন অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দাসপুরের বাঁধ ভেঙে গ্রামে ঢোকা জল বেরোতে না-পারার পিছনে জোতঘনশ্যামের সীতাপুরে কিছু লোকের বালির বস্তা ফেলে বাঁধ উঁচু করা অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মমতো জমা জল সীতাপুর, শিবরা হয়ে রূপনারায়ণ নদীতে গিয়ে পড়ার কথা। কিন্তু বাঁধ উঁচু হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনিক উদাসীনতা নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। যদিও ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “সীতাপুরের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে জল রূপনারায়ণেই গিয়ে পড়ছে।”
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.