|
|
|
|
ফিরল সেচ দফতর |
বাঁধ সংস্কার নিয়ে কাজিয়া পাঁশকুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ত্রাণ বিলি নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। এ বার কাজিয়া বাধল বাঁধ মেরামতির কাজ নিয়েও। বৃহস্পতিবার সকালে পাঁশকুড়ার পূর্ব চিল্কায় কাঁসাই নদীর বাঁধ মেরামত করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়েন সেচ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। এলাকাবাসীরা মূল বাঁধ সংস্কারের আগে জমিদারি বাঁধ মেরামতের দাবি জানালে সেচ দফতর আপত্তি জানায়। জমিদারি বাঁধ সারানো তাঁদের দায়িত্ব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন সেচ দফতরের কর্মীরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধলে কাজ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন সেচ দফতরের লোকজন।
বছরের প্রথম বর্ষণে পূর্ব মেদিনীপুরের যে সব স্থানে নদী বাঁধ ভেঙেছে, সেগুলি অধিকাংশই নদীর চর সংলগ্ন জমিদারি বাঁধ। কেবলমাত্র পাঁশকুড়ার পূর্ব চিল্কা গ্রামে কাঁসাই নদীর জমিদারি বাঁধ ছাড়াও মূল বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পাঁশকুড়া ১ ও তমলুক ব্লকের ২০টি গ্রাম। এ ছাড়া, পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর এলাকার রায়বাঁধের কাছে কাঁসাই নদীর মূল বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। মেরামতের জন্য এ দিন পূর্ব চিল্কা ও রায়বাঁধে গিয়েছিল সেচ দফতর। কিন্তু পূর্ব চিল্কায় জমিদারি বাঁধ আগে সারানোর দাবি জানান গ্রামবাসী। জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার দিগন্ত মাইতি অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, কেবলমাত্র মূল নদী বাঁধ মেরামতের দায়িত্ব সেচ দফতরের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা জমিদারি বাঁধ মেরামতের জন্য জেলা পরিষদ কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানান। যদিও পূর্ব চিল্কা গ্রামে কোনও কাজ হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এ দিন সেচ দফতরের লোকজন ফিরে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বিকেলে পাঁশকুড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন সৌমেনবাবু। বৈঠকে স্থির হয়, শুক্রবার থেকেই পঞ্চায়েত সমিতি পূর্ব চিল্কায় জমিদারি বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করবে। পরে মূল নদী বাঁধ সংস্কার করবে সেচ দফতর। সৌমেনবাবু বলেন, “জমিদারি বাঁধ মেরামতির কাজে জেলা পরিষদ সহযোগিতা করবে। দ্রুত কাজ হবে।”
এ দিকে, কাঁসাই নদীর জলসীমা কমলেও জল সরছে না প্লাবিত গ্রামগুলি থেকে। জল কমেনি ক্ষীরাই ও চণ্ডীয়া নদীতেও। ত্রাণ বিলির কাজে প্রশাসনিক গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব চিল্কার বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্লাবিত এলাকায় ত্রিপল, শুকনো খাবার বিলি হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ত্রাণ শিবিরও খোলা হয়েছে। জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর আশ্বাস, “ত্রাণের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মহিলা তৃণমূলের সভা। ঝাড়গ্রামের একটি অতিথিশালায় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম শহর প্রস্তুতি কমিটির সভা হল বুধবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী উত্তরা সিংহের উপস্থিতিতে এ দিন শহরের ১৭টি ওয়ার্ড থেকে ১১ জন আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়। উত্তরাদেবী জানান, পরবর্তী সভায় ওই ১১ জনের মধ্যে থেকে সংগঠনের ঝাড়গ্রাম শহর কমিটির সভানেত্রী ও সদস্যদের নির্বাচিত করা হবে। |
|
|
|
|
|