|
|
|
|
কলেজে ভর্তি নিয়ে উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কলেজ কর্তৃপক্ষ স্নাতকস্তরে ভর্তির জন্য সরকারি ভাবে মেধা-তালিকা প্রকাশের আগেই সেই তালিকা এসএফআই কর্মীদের হাতে চলে এসেছে, এমনই অভিযোগ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় খড়গপুর কলেজ ক্যাম্পাসে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানান। দাবি করেন, যে বা যাঁরা মেধা তালিকা এ ভাবে প্রকাশ করেছেন, তাঁদের চিহ্ণিত করতে হবে। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে।
টিএমসিপি-র খড়গপুর কলেজ ইউনিটের নেতা তাপস ভুঁইয়ার বক্তব্য, “এ দিন দুপুরে প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য মেধা-তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তালিকা প্রকাশের আগেই সেই তালিকা এসএফআই কর্মীদের হাতে চলে আসে! এর প্রতিবাদেই আমরা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাই। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছি।” নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ যথারীতি তালিকা প্রকাশ করেন। এসএফআই অবশ্য তালিকা আগে হাতে পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “নানা অজুহাতে ওরা (তৃণমূল) কলেজ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ক’দিন আগে আমাদের সংগঠনের পতাকা খুলে পুড়িয়ে দেয়। এ দিনও গোলমালের চেষ্টা করে।”
অন্য দিকে, এ দিনই বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরিচালন সমিতির সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করা হয়। সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান রমা গিরির বক্তব্য, “পরিচালন সমিতির সদস্যদের অধিকাংশই সিপিএমের নেতা-কর্মী। তাঁরা এখন কলেজের বৈঠকেও আসছেন না। তা হলে আর পদে থেকে লাভ কী?” পাশাপাশি, কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও অধ্যক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিন মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ডিএসও-ও। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের পরিকাঠানো উন্নয়নের দাবি জানানো হয়। সঙ্গে অতিরিক্ত ফি-র সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। ডিএসও-র পক্ষে সৌমেন রায় বলেন, “আমরা প্রতিটি বিভাগেই আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|