|
|
|
|
সিপিএম অফিসে মিলল বীজ, সার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএম কার্যালয় থেকে অস্ত্র উদ্ধার চলছিলই। এ বার বন্দুকের সঙ্গেই উদ্ধার হল বাদাম ও সরষের বীজ, গম, সার, চালের মিনিকিট। লাগোয়া জলের ট্যাঙ্ক থেকে আবার উদ্ধার হল একশো দিনের প্রকল্পের বেশ কিছু জবকার্ড। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর সদরের হরিশপুরে। পুলিশ এলে তাদের সামনেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য বাবুলাল মুর্মু স্বীকার করেন, স্থানীয় সিপিএম নেতাদের নির্দেশেই গরিব চাষিদের মধ্যে বিতরণের জন্য আসা এই সব সামগ্রী ভোটের আগে পার্টি অফিসে মজুত করা হয়েছিল।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের হরিশপুরে রয়েছে সিপিএমের পাঁচখুরি-২ লোকাল কমিটির অফিস। তৃণমূলের দাবি, এ দিন সকালে কয়েক জন সিপিএম কর্মীর কাছ থেকেই তাঁরা জানতে পারেন ওই পার্টি অফিসে বীজ, সার মজুত করা রয়েছে। তল্লাশি শুরু হয়। একের পর এক বস্তায় মেলে গম, বাদাম-সরষের বীজ, চালের মিনিকিট, সার। পরে উদ্ধার হয় একটি বন্দুক এবং বেশ কিছু জবকার্ড। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন বাবুলালবাবু। সেই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এক স্থানীয় সিপিএম নেতাকে আটক করে পুলিশ। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, গরিব চাষিদের বিতরণ করার জন্যই এই সব সামগ্রী পাঠানো হয়েছিল। পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই মিনিকিট বিলি করা হয়। খাতায়-কলমে তা হয়েও গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, এত দিন সিপিএম নেতারাই এই সব সামগ্রী বিলি করতেন। পার্টির অনুগতরাই যে সমস্ত সাহায্য পেতেন, তা প্রমাণ হয়ে গেল। সিপিএম নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, এ সবই সাজানো।
এ দিনই আবার পশ্চিম মেদিনীপুরেরই খড়গপুর-১ ব্লকের মাতকাতপুরে একটি পুকুরের পাশের জঙ্গল থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে থেকে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যাগের মধ্যে থেকে বন্দুকটি উদ্ধার করে। |
|
|
|
|
|