|
|
|
|
সালেপুর ১ পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা চলছেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বিডিও-র নির্দেশে বৃহস্পতিবার আরামবাগ সালেপুর ১ পঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলা হলেও প্রধান-সহ সদস্যেরা কেউই এলেন না। তবে পঞ্চায়েতের ৯ জন কর্মীর মধ্যে পাঁচ জন ছিলেন। পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ সিংহ-সহ বাকি চার জন কর্মী ব্লকে হাজিরা দিলেন। তবে প্রধান ও এগজিকিউটিভ অফিসার না আসায় কাজের কোনও অগ্রগতি হল না পঞ্চায়েতের।
প্রধান বলেন, “তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে অফিস করা যাচ্ছে না। মারধরের হুমকি তো আছেই। মঙ্গলবার কর্মীরা মাস্টাররোলের তদন্তে গিয়ে মার খেয়েছেন। কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণের সমস্ত মালপত্র ওদের হাতে তুলে দিতে বলেছে। আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সদস্যেরা চড়-থাপ্পড় খাচ্ছেন।”
পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অভিসার রবীন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, “নিয়ম-কানুন কিছুই মানতে চাইছেন না ওঁরা। নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করা যাচ্ছে না।” গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবারকপুর গ্রামে পঞ্চায়েত কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অচল অবস্থার তৈরি হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, মাস্টার রোলের ভুয়ো নাম ঢোকানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে টাকা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। তদন্তে যান নির্মাণ সহায়ক সনাতন মিদ্যা-সহ সংশ্লিষ্ঠ প্রকল্পের মোট চার জন। তাঁদের মারধর করার পরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই এ দিন জানান, শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের আগে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামবাসীদের সামনে মাস্টাররোল রেখে তদন্ত হচ্ছিল। সেই অবস্থায় হামলা হয়। মাস্টাররোল যাঁরা তৈরি করেছেন সেই সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। মাস্টাররোলে ভুয়ো নাম থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পঞ্চায়েতের কাজ স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। |
|
|
|
|
|